কেএম সোহেব জুয়েল, বিশেষ প্রতিনিধি।। বরিশালের গৌরনদীতে শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষকের অশালীন ও অনৈতিক আচারনে অতিস্ট হয়ে অবশেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শিক্ষার্থী মা, মায়া বেগম।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে মায়া বেগমের কন্যা সুবর্না কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত একজন ছাত্রী ছিলেন। সে মতে ২০২২ ইং এসএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহনের প্রস্তুতি হিসাবে চলতি মাসের ১৯ তারিখে তিনি ( সুবর্না) ইংরেজি ১ ম পত্র (টেস্ট পরীক্ষা) অংশ গ্রহন করেছিল। ওই দিন বিকেল ৪ টায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উদ্দেশ্য প্রনদিত ও ইশ্বার্নিত হয়ে সুবর্নার কাছ থেকে ওই বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক সাইদুর রহমান রাসেল নির্ধারিত সময়ের পূর্বে জোর পূর্বক উত্তর পত্র সিনিয়ে নেয় শিক্ষার্থীর সুবর্নার। এমন অভিযোগ সুবর্নার।
উত্তর পত্র ফিরে পেতে শিক্ষক সাইদুরেরে কাছে বিনয়ের সাথে বারংবার নিবেদন জানান সুবর্না। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক সাইদুর শিক্ষার্থী সুবর্নার সাথে দুরআচারন করেন।
এর ফলশ্রুতিতে পরিপুন্য উত্তর দিতে ব্যার্থ হন স্কুল ছাত্রী সুবর্না। পরবর্তিতে এ ঘটনা তার অভিভাবকদের জানালে তার (সুবর্না) মা, মায়া বেগম শিক্ষক সাইদুর ইসলাম রাসেলের উপযুক্ত বিচারের দাবিতে ২০ মে ২০২২ ইংগৌরনদী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অপর দিকে শিক্ষক সাইদুরের অনৈতিক আচারনে ক্ষুুদ্বে সঠিক বিচারের দাবি জানিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে লেখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্কুল ছাত্রী সুবর্না।।
এ ব্যাপারে স্কুল শিক্ষক সাইদুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি শিক্ষার্খী সুবর্নার সাথে খারাপ আচরণ করি নাই বরং উত্তর পত্র চাওয়াতে আমাকে বেয়াদব বলেছে ছাত্রী সুবর্না। তার কথার পরিপ্রেক্ষেতে আমি তাকে মন্দ বলেছি। এমনটাই জানিয়েছেন স্কুল শিক্ষক সাইদুর রহমান।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুধাংশ কুমার মাঝির সাথে স্বাক্ষাৎ কালে তিনি বলেন শিক্ষক সাইদুর রহমান অসৎ প্রকৃতির লোক তার নিয়োগ ও সঠিক নয়। নিয়োগে যিনি ১ ম হয়েছেন তাকে ভাইবা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে না দিয়ে শিক্ষক সাইদুর প্রভাব খাটিয়ে তার খেয়াল খুশি মত পরীক্ষা দিয়ে চাকুরীতে যোগদান করেছেন। এবং তিনি কোন নিয়ম নিতি না মোনে নিজ খেয়াল খুশি মত স্কুল করেন।
২০১৭ ইং সালে অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য সাইদুরকে সাময়িক বরখাস্ত করেন স্কুল কর্তীপক্ষ। এ ছারাও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অর্থ কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত এই শিক্ষক। এমনটি জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক শুধাংশ বাবু।
ছাত্রীর সাথে দুর আচারনের ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রমানিত হলে স্কুল কর্তী পক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অতি শিঘ্রই শিক্ষক সাইদুরের অনৈতিক ও অশালীন কার্যকলাপের সব ধরনের ব্যাবস্হা নেয়া হবে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
অপর দিকে শিক্ষার্থীর ভাই শুভ এই অপরাধের সর্বচ্চ শাস্তি দাবি করেন স্কুল কর্তী পক্ষের কাছে। সঠিক বিচার না পেলে আইনি ভাবে কঠর ব্যাবস্হা নেয়ার হুশিয়ারি দেন শিক্ষার্থী সুবর্নার ভাই শুভ।
নিয়ম বহিঃভুত ও অশালীন আচরণের জন্য শিক্ষক সাইদুরের যথাযথ ব্যাবস্হা নিতে কর্তীপক্ষের সু,-দৃস্টি কমনা করেছেন সুবর্না ও তার পরিবারের লোকজন।।