রাঙা প্রভাত ডেস্ক।। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নেভাতে তড়িঘড়ি করে গেঞ্জি পরে বাসা থেকে বের হন ফায়ার ফাইটার রমজানুল ইসলাম রনি। এরপর বিস্ফোরণস্থল থেকে বিকৃত মরদেহের ভিড়ে পরনের গেঞ্জি দেখে স্বামীকে শনাক্ত করের স্ত্রী।

রোববার (৫ জুন) বিকেলে শেরপুর সদর উপজেলার নিহত রনির চাচা সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

রনি শেরপুর সদর উপজেলার চর শেরপুর ইউনিয়নের বালুঘাটা এলাকার আকরাম হোসেন আঙ্গুরের ছেলে। তিনি সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফায়ার ফাইটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার (৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে যান রমজানুল ইসলাম রনি। এ সময় কনটেইনারে বিস্ফোরণ হলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। তার মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।

রনির চাচা ২নং চরশেরপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. জামান মিয়া বলেন, রনি দেড় বছর আগে ফায়ার সার্ভিসের চাকরিতে ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগ দেন। মাত্র তিন মাস আগে সে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বদলি হয়। আট মাস আগে বিয়ে করা স্ত্রী রুপাকে নিয়ে সীতাকুণ্ডেই ভাড়া বাসায় থাকতেন রনি। রনির ছোট ভাই তারিকুল ইসলাম রকিব ময়মনসিংহের একটি কলেজে স্নাতক শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন।

তিনি বলেন, শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দায়িত্ব পালনে সীতাকুণ্ডের ভাড়া বাসা থেকে গেঞ্জি পরেই বেরিয়ে যান রনি। এরপর থেকে রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত তাকে আর মোবাইল ফোনে না পাওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বিকৃত মরদেহের ভিড়ে পরনের গেঞ্জি দেখে তার মরদেহ শনাক্ত করে স্ত্রী রুপা খাতুন।

ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে রমজানের মা কামরুন্নাহার রত্না ও চাচা আবুল কাশেম চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা এক এক করে বেড়েই চলছে। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৯ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ মোট ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন প্রায় চার শতাধিক। এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এখনও কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট।

Share.
Exit mobile version