বিশেষ প্রতিনিধি।। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রহিম উদ্দিন মালাই মৃধা কান্দি একতা যুব সংঘ কেন্দ্রে বিজয়ী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমান সিকদারের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১২ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশের ছোড়া শর্টগানের গুলিতে ইমরান হোসেন, রুবিনা আক্তার ও তার তিন বছরের কন্যা লামিছা গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার শরীয়তপুরের জাজিরায় ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সবগুলো ইউপিতেই ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। বিকালে বিলাশপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রে সদস্য প্রার্থীদের ফলাফল বুঝিয়ে দেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শেখ দেলোয়ার হোসেন। এ সময় বিজয়ী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা মিছিল করতে থাকে। তখনই পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমান সিকদারের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। হামলাকারীরা ভোট কেন্দ্র ভাংচুর করে নির্বাচন পরিচালনার কাজে নিয়োজিতদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় কয়েকটি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা শর্টগান দিয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশের ছোড়া শর্টগানের গুলিতে ইমরান হোসেন, রুবিনা আক্তার ও তার তিন বছরের কন্যা লামিছা গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল এক দল র্যাব ও বিজিবির সহায়তায় অবরুদ্ধ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেন ।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শেখ দেলোয়ার হেসেন বলেন, ফলাফল ঘোষণা করে আমরা সকল প্রার্থীর রেজাল্টসিট বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম। এমন সময় পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমানের সমর্থকরা হামলা করেন। তাদের হামলায় আমাদের কর্মকর্তারাও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের কিছু মালামাল খোয়া গেছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আমাদের উদ্ধার করেছেন।
এ ব্যাপারে জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে ও নির্বাচনের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নিরাপদ রাখতে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। তাতে তিন জন আহত হওয়ার কথা শুনেছি। তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।