বিশেষ প্রতিনিধি।। দেশের কয়েক জায়গায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এর মধ্যে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেটের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সুনামগঞ্জের সঙ্গে পাঁচ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। নগরের নদী তীরবর্তী এলাকায়ও ঢুকে পড়েছে পানি। ফলে পানিতে ভাসছে সুরমা তীরবর্তী অঞ্চল। এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বন্যায় অসহায় হয়ে পড়েছেন মানুষ।

খাবার, বিশুদ্ধ পানির জন্য চলছে হাহাকার। পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার পাঁচ উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ। লাখ লাখ মানুষ হয়ে পড়েছে পানিবন্দি। অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।

গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে সিলেট নগরে সুরমা নদীর পানি প্রবেশ শুরু করে। আগামী ১৯ জুন থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষা নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা।

সিলেট নগর ছাড়াও জেলার বন্যা আক্রান্ত পাঁচ উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। গতকাল দুপুরের দিকে নদীর পানি কিছু কমলেও বিকাল ৩টার পর থেকে ফের বাড়া শুরু হয়েছে।

সুনামগঞ্জ : ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

পানিবন্দি অবস্থায় আছেন জেলার সীমান্তবর্তী পাঁচ উপজেলায় কয়েক লাখ মানুষ। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ। চরম ভোগান্তি রয়েছেন বানভাসিরা। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ জানান, তার নির্বাচনী এলাকার সদর উপজেলায় এখন পর্যন্ত ১৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ত্রাণ হিসেবে প্রত্যেক ইউনিয়নে ২ মেট্রিক টন করে চাল দেওয়া হয়েছে।

Share.
Exit mobile version