বিশেষ প্রতিনিধি।। রাজশাহীতে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরীর হেতেমখা সবজিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সানি (১৭)। তিনি রাজশাহী পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখির ছোট ছেলে।
সানি এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নগরীর বোয়ালিয়া থানার দড়িখরবনা এলাকায়।
পুলিশ ও নিহত কিশোরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাতে আহত এক বন্ধুকে হাসপাতালে দেখতে যায় সানি। এসময় কয়েকজন যুবক হাসপাতাল থেকে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
পরে তারা তাকে হেতেমখা সবজিপাড়া এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে সানিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা।
তাদের আহাজারি-আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠে হাসপাতালের বাতাস। নিহত সানির বাবা পাখি বলেন, তার ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। বন্যার কারণে তাদের পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে। খেলতে গিয়ে তার এক বন্ধু আহত হয়। তাকে দেখতে সে হাসপাতালে আসে।
হেতেমখা সবজিপাড়া এলাকার বিএনপি নেতা দিতির ছেলে আন্নাফ দলবল নিয়ে গিয়ে সানিকে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তারা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত সানির মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর জোনের নারী কাউন্সির সামসুন নাহার। এসময় তিনি নিহত পরিবারের সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন। হাসপাতালের সামনে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা তার পরিচিত বলে অভিযোগ তুলে তাকে লাঞ্ছিত কড়া হয়।