বিশেষ প্রতিনিধি।। বান্দরবান সীমান্তে আবারও মিয়ানমারের গোলাগুলি ।আজ মঙ্গলবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওয়ালিডং পাহাড়ে টহল দিচ্ছেন সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
দুই দিন বন্ধ থাকার পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় আবারও মিয়ানমারের গোলাগুলি শুরু হয়েছে। ঘুনধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে চালানো গুলির বিকট শব্দে সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সীমান্তে দুই দিন গোলাগুলি বন্ধ থাকায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু হঠাৎ মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও গোলাগুলি শুরু হওয়ায় ভয়ে আছে সীমান্তের লোকজন। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, সীমান্তে আবারও গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভয়ভীতির কোনো কারণ নেই। আমরা সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফৌরদৌস জানান, সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৮ আগস্ট নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকায় মিয়ামারের দুটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল এসে পড়লে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল দুটি উদ্ধার করেন। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা এসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুনধুম এলাকায় পড়ে।