বিশেষ প্রতিনিধি।। পাবনা জেলার কাশীনাথপুর জনতা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে যাওয়ার পথে ডিবি পরিচয়ে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামের নিকট থেকে ৮ লাখ টাকাসহ কিডন্যাপ করে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। তাকে আমিনপুর থানাধীন নান্দিয়ারা নামক স্থান থেকে কিডন্যাপ করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয় চক্রটি। অতঃপর ৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে সুজানগর উপজেলার আলাদিপুর গ্রামে এক নির্জন স্থানে থাকে ফেলে রেখে যায় তারা। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৫শে আগস্ট ২০২২ । ভিকটিম ব্যবহৃত গাড়িটির নাম্বারটি মুখস্থ রাখায় পরিবারের পক্ষ থেকে এ দিনই আমিনপুর থানায় গাড়ির নাম্বার সহ একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

ছিনতাই কারীর জড়িত ব্যবহৃত গাড়ি

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, এ ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের ছয় জন দুর্ধর্ষ ডাকাত পুলিশের সরঞ্জামাদিসহ ডিবি পুলিশ পাবনা কর্তৃক গ্রেফতার হয়। জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুন্সীর নির্দেশে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতি. পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জনাব মোঃ মাসুদ আলম এর নেতৃত্বে এসআই (নিরস্ত্র) অসিত কুমার বসাকসহ পাবনা ডিবির একটি চৌকশ টিম এবং ওসি আমিনপুর জনাব রওশন আলী ও পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ এমরান মাহমুদ তুহিনের নেতৃত্বে একটি টিমের যৌথ অভিযানে ভোলা জেলার চরফ্যাশন এবং ঢাকা, গাজিপুর এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে ৩ দিন ব্যাপি শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। এরা সকলেই দুর্ধর্ষ ডাকাত চক্রের সদস্য।

গ্রেফতার কৃতরা হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার দোহাকালা গ্রামের মৃত-মোক্তার হোসেনের ছেলে মোঃ মাসুদ করিম (৪৭),
একই জেলার বড় পাঙ্গাসী গ্রামের মৃত সাবের প্রামাণিকের ছেলে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (৩২),
উল্লাপাড়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মান্নু মিয়ার ছেলে মোঃ আরিফ (৩০),
বড়পাঙ্গাসী প্রামানিক পাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে মোঃ মাসুদ রানা (২৯),
শাহজাদপুর উপজেলার চর আঙ্গারু গ্রামের মোঃ আব্দুল শুকুর মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩৮),
এবং অন্যজন ভোলা জেলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ গ্রামের মৃত আহমেদের ছেলে আলমগীর হোসেন গাড়ি চালক(৩৫)
এদেরকে নিম্নবর্নিত আলামত সহ গ্রেফতার করা হয়। উক্ত ডাকাত দলের মুলহোতা মোঃ মাসুদ করিম।
উল্লেখ্য যে, যেসব ব্যক্তি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করে সেই সব ব্যক্তির পিছনে ডাকাতগণ সোর্স নিযুক্ত করে তাদেরকে ফলো করতে থাকে। সুবিধাজনক স্থানে উক্ত ভিকটিম টাকাসহ পৌঁছামাত্র ডাকাতগণ তার পথরোধ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে হ্যান্ডক্যাপ লাগিয়ে জোরপুর্বক দ্রুত মাইক্রোবাসে তুলে চোখ বেঁধে তার সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে নির্জন জায়গায় ফেলে দেয়।

উদ্ধারকৃত সরঞ্জামাদি হচ্ছে- একটি DB DMP লেখা ডিবির জ্যাকেট/কটি,
এক জোড়া হ্যান্ডকাফ,ওয়াকিটকি সেট,পুলিশের ব্যবহৃত একটি সিগন্যাল লাইট,ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি সাদা মাইক্রোবাস,ঘটনাস্থলে ব্যবহৃত আসামীদের ৭ টি মোবাইল সেট এবং ১০ টি সিম ।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিভিন্ন রকম অপকর্ম যেমন অপহরণ,ছিনতাই ,ডাকাতি ,অস্ত্র ও মাদক মামলা সহ প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৮ টি থেকে ১০ টি করে মামলা রয়েছে।

Share.
Exit mobile version