গেজেটে নেই সনদপত্র পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম !
নিজস্ব প্রতিবেদক :- বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে ছিলেন বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজীর হাট থানার পশ্চিম রতনপুর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন মালের ছেলে প্রয়াত মোঃ মকবুল হোসেন মাল । মুক্তিযুদ্ধের রণাক্ষনের সময় অস্ত্রধারী একজন সাহশী যোদ্ধা ছিলেন তিনি । ভারতের পিপা ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছিলেন তিনি। সেই মুক্তিযোদ্ধার নাম আজও গেজেটভুক্ত হয়নি।
মকবুল হোসেন মালের স্ত্রী মোসাঃ ফিরুজা বেগম বলেন, স্বামী চলে গেছে; আমিও চলে যাবো। অত্যন্ত স্বামীর প্রাপ্য অধিকারটুকু নিয়ে মরতে চাই, মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেটভুক্ত হবে স্বামীর নাম, এটা কারো দয়া বা করুণা নয়, এটা হলো আমার স্বামীর কাজের স্বীকৃতি। তাই আমার প্রয়াত স্বামীর এ স্বীকৃতি পেতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোরালো আহবান রইলো। আমার স্বামী জীবিত সময়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির জন্য তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলোও তিনি তখন কোন সাড়া পাইনি। জীবনের একটি বড় আপছুস নিয়েই মারা গিলো তিনি। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যুদ্ধ করেও গেজেটভুক্ত হতে পারেনি তিনি। এ কথাগুলো বলতে গিয়ে বারবার আঁচলে মুখ মুছেন ফিরুজা বেগম।
যুদ্ধাকালীন সময়ে তিনি তার সহযোদ্ধাদের সাথে মেঘনা নদীতে পাকিস্থানি সেনাদের গান বোর্ড দখল করে ছিলেন। মুলাদী ও গৌরনদী বেইজ কমান্ডার কতুবউদ্দিন ও স্থানিয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম নিজাম উদ্দিন আহমদ্দের অধিনে মুলাদী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ও গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদসহ বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে ছিলেন তিনি। তখন নয় নম্বর সেক্টরে তার সাব সেস্কটর কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন শাজাহান ওমর বীর উত্তম।
মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর অধিনায়ক মুহম্মদ আতাউল গনী ওসমানী স্বাক্ষরীত একটি স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদ পত্র তাকে দেওয়া হয়ে ছিলো। সেই সনদ পত্রের শক্তিতে তিনি গেজেটভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করলেও অধিনায়ক মুহম্মদ আতাউল গনী ওসমানী স্বাক্ষরীত সনদ কোন কাজে আসেনি। তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তার প্রত্যায়ন পত্র দিয়েছেন যুদ্ধকালীন সময়ের তার সহযোদ্ধা মো; হেলাল উদ্দিন, লাল বই নং ০৬০১০৫০৩৭৭ এবং অন্যজন মো: সহীদ হাসান, লাল বই নং ০৬০১০০০০১০।
তাই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রয়াত মকবুল হোসেন মালের স্ত্রী মোসাঃ ফিরুজা বেগম তার স্বামীকে মুক্তিযোদ্ধ স্বীকৃতি পেতে ও স্বামীর নামটি গেজেটভুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহাদয় সহ কর্মকর্তাদের নিকটও আহবান জানান।