রাঙা প্রভাত ডেস্ক।।

দুবাইয়ে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ত্রাতা ছিলেন আফিফ। ১১ ওভার শেষে ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় দল। সেখান থেকে আফিফ দলকে এগিয়ে নেন নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে।

৯ ওভারে দুজনের ৮১ রানের জুটিতে বাংলাদেশ পায় মোটামুটি ভালো পুঁজি। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে আফিফ করেন ৫৫ বলে অপরাজিত ৭৭।

এই ইনিংস তার দারুণ ফর্মেরই ধারাবাহিকতা। এই বছর এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সফলতম টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান তিনিই। ১১ ম্যাচ খেলে ৩২৩ রান করে ফেললেন ৪০.৩৭ গড় ও ১২৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে। দলের আর কোনো ব্যাটসম্যান করতে পারেননি ২৫০ রানের বেশি।

রান প্রচুর করলেও আফিফ বরাবরই অল্প কথার মানুষ। সামনের ম্যাচগুলোয় প্রত্যাশার প্রশ্নে তার ছোট্ট উত্তর, “আশা করি, পরের ম্যাচ থেকে আরও বেশি রান করব।”

বয়স স্রেফ ২৩ হলেও এই সংস্করণে তার অভিজ্ঞতা এখন কম নয় মোটেও। ৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেললেন। তার ব্যাটিংয়েও সেই অভিজ্ঞতারই প্রকাশ, চাপের মধ্যে যেভাবে ইনিংসটি গড়লেন তিনি।

ম্যাচ শেষে বললেন, একের পর এক উইকেট হারানোর পর তার চাওয়া ছিল শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে নেওয়া।

“শুরুতে উইকেট একটু কঠিন ছিল। বল গ্রিপ করছিল। টপ অর্ডার ভালো করতে পারেনি। আমি আর সোহান ভাই যখন ব্যাট করছিলাম, উইকেট আস্তে আস্তে ভালো হচ্ছিল বলে আমরা ভালো ব্যাট করতে পেরেছি।”

“আমাদের মধ্যে কথা হচ্ছিল যে, দুজন যদি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারি, দুজনেরই বিশ্বাস ছিল যে দলকে একটা ভালো স্কোরে নিয়ে যেতে পারব।”

Share.
Exit mobile version