বিশেষ প্রতিনিধি।। মিনিকেট নামে ধানের কোনো জাত নেই। এ নামে কোনো চাল বাজারজাত করা যাবে না। এখন থেকে প্রতিটি চালের বস্তায় বাধ্যতামূলক ধানের জাত লিখে দিতে হবে। মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বুধবার (৫ অক্টোবর) গাজীপুরের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) কৃষিক্ষেত্রে গবেষণা এবং মাঠ পর্যায়ে জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ সম্পর্কিত মতবিনিময়সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরো বলেন, ‘চালের বস্তায় ধানের জাত লেখার জন্য ইতিমধ্যে মিল মালিকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ‘বিজ্ঞানীরা ধানের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করছেন। মাঠ পর্যায়ে জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন দিগুণ হবে।’

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ব্রি মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সঞ্চালনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম এন জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এর আগে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। ১৭টি স্টলে ব্রি উদ্ভাবিত বিভিন্ন ধানের জাত, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি, ধানের রোগবালাই ও পোকামাকড় দমনসহ ধান গবেষণা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় প্রদর্শিত হয়।

Share.
Exit mobile version