রাঙা প্রভাত প্রতিবেদক।। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবরের মধ্যে আঘাত হানতে পারে। দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে চলছে নানা বিশ্নেষণ। এ অবস্থায় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম (জিএফএস) জানিয়েছে, এটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি নিয়ে সতর্ক আছে বাংলাদেশ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, জিএফএস বলেছে, ১৭ অক্টোবর একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হবে। যেটা পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঝড়ে রূপ নেবে। ওই ঝড় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও আমাদের সুন্দরবনের কিছু অংশে আঘাত হানতে পারে।

চলতি মাসের শুরুতে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তরও। কিন্তু এরপর এ নিয়ে আর কোনো তথ্য তারা জানায়নি। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাঁরা (আবহাওয়াবিদ) বলেছেন, এটি আরও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও লঘুচাপ এখনও সৃষ্টি হয়নি। এ বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। উপকূলে বার্তা পৌঁছে গেছে, প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়ণ কেন্দ্র।

ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে এবার তার নাম হবে ‘সিত্রাং’। থাইল্যান্ডের দেওয়া এ শব্দের অর্থ ‘পাতা’।

বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল বিশ্নেষণ করে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ শুক্রবার সমকালকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির বিষয়ে বিশ্বের পাঁচটি আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের সবগুলোই একমত। মডেলগুলোর সবক’টিই সুপার-সাইক্লোন অপেক্ষা কম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনার কথা নির্দেশ করছে।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জ থেকে পশ্চিম দিকে ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের মাঝামাঝি উপকূলের দিকে অগ্রসর হলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়ে স্থলভাগে আঘাত করবে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে উত্তর দিকে বাংলাদেশের বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অগ্রসর হলে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী হিসেবে স্থলভাগে আঘাত করবে।

Share.
Exit mobile version