এলিসন সুঙ, মৌলভীবাজার।। রাখাল নৃত্যের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মনিপুরী সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ রাস উৎসব। হাজারও মানুষের পদচারনায় মূখর জোড়া মন্ডপ।

কঠোর নিরাপত্তা ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বুধবার(৮নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় মৌলভীবাজার জেলার  কমলগঞ্জে মাধবপুরে রাখাল নৃত্যের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে মণিপুরী সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব মহারাসলীলা।

এদিকে কমলগঞ্জের আদমপুর ও মাধবপুর জোড়া মন্ডপ প্রাঙ্গনে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সম্প্রদায়ের মনিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের আয়োজনে এ বছর ১৮০ তম মহা রাসোৎসব পালিত হচ্ছে। শ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলা উপলক্ষে কমলগঞ্জের মণিপুরী পল্লীতে রাসোৎসব উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিলো উৎসবের আমেজ।

এদিকে মহা-রাসলীলা উপলক্ষে মাধবপুর জোড়া মন্ডপ ও আদমপুরের তেতইগাঁও সানাঠাকুর মন্ডপ গুলোতে ছিল সাজ সাজ রব। সাদা কাগজের নকশায় সজ্জিত মন্ডপগুলো সাজানো হয়েছে নিপুন কারুকার্জে।

এদিকে বিকেল সাড়ে ৩টায় রাসলীলা  উপলক্ষ্যে নবনির্মিত মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির নান্দনিক ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

এই মহা রাসলীলা উৎসর ও নবনির্মিত একাডেমী ভবনকে কেন্দ্র করে বিকেলে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর এর সভাপতিিত্বে ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহমেদ এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হয়ে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ (এমপি),

গেষ্ট অফ অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সবেক চীফ হুইপ ডঃ আব্দুস শহীদ এমপি, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অসীম কুমার উকিল, বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়,কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দিন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রফিকুর রহমান,মনিপুরী কল্যাণ সমবায়ী সমিতি সভাপতি  বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ কুমার সিনহা,বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরাম কো-চেয়ারপার্সন মি:জিডিসন প্রধান সুছিয়াং,যুগ্মসচিব সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রকল্প পরিচালক মো: শামীম খান প্রমূখ।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত চারতলা বিশিষ্ট নবনির্মিত মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি ভবনে রয়েছে প্রশিক্ষণ সেন্টার, প্রশাসনিক ভবন, গেস্ট হাউজ ও ডরমেটরি।

সংশ্লিষ্ট মনে করেন এ নতুন ভবনের কার্যক্রম  শুরু হলে এ এলাকার শিল্প-সংস্কৃতি চর্চা আরও সুন্দর  গতিশীল হবে।

Share.
Exit mobile version