মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মদনমোহনপুর চা বাগানের খ্রিস্টান লাইনের মিশনারী কমিউনিটি স্কুলের শিক্ষক  রঞ্জিত রাফায়েল মান্দা এর হত্যা মামলার ছয় আসামীকে দীর্ঘ শুনানি   পরে আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার   জেলা কারাগারের পাঠানো হয়েছে।

বিগত(৩১জুলাই) নিহত রঞ্জিত রাফায়েল মান্দা এর মা পারুল কোড়াইয়া (৫৭) বাদী হয়ে সাতজনকে আসামী করে মৌলভীবাজার  সিনিয়র  জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আদালতে মামলা দায় করেন, মামলা ধারা:৩০২/২০১/৩৪দণ্ডবিধি।

এই হত্যা মামলা আসামীরা হলো ১নং আসামী  পলিনুস ডিব্রা (৩৭)পিতা:বিজেন ম্রং। ২নং আসামী  সামুয়েল খক্সী সমু (২৮)পিতা:পিযুষ রাংসা।৩নং আসামী  কল্যাণী খক্সী(৬০) স্বামী:পিযুষ রাংসা। ৪নং আসামী  পিযুষ রাংসা(৬৫) পিতা: অজ্ঞাত। ৫নং অসামী অভি মান্দা(২৬) পিতা:কার্লোস খক্সী। ৬নং আসামী রেখা খক্সী (২৮)স্বামী পলিনুস ডিব্রা।৭নং আসামী ইমন তজু পিতা:অজ্ঞাত।

 বুধবার (৯নভেম্বর ) দুপুরে মৌলভীবাজার  সিনিয়র  জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আদালতে হাজির হলে আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব আল মাম্মুদ ফয়জল কবির আমলী আদালত-৩ এর বিচারক তাদের ছয়জন আসামীকে   জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে ৬নং আসামী রেখা খক্সী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকা কারণে তাকে গ্রেপ্তার  করার আদেশ দেয়নি আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা  মৌলভীবাজার  জেলার কমলগঞ্জ  উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের ফাঁড়ী হাজারীবাগ  গ্রামের বাসিন্দা ।
আদালত সুত্রে জানা যায়,গত (১২সেপ্টেম্বর)পুনরায়  শুনানি কার্যক্রম শুরু হলে  ময়নাতদন্তের রিপোর্ট  ও বিভিন্ন রকমের ডুকোমেন্টসহ বিজ্ঞ আদালতে পেশ করা হয়।কিন্তু ময়নাতদন্ত রিপোর্ট টি বিভিন্ন রকমের তালবাহানা ও মনগড়া রিপোর্ট হওয়া কারণে  আদালত সঠিক তদন্ত করার জন্যে জেলায় কর্তব্যরত পিবিআই ( পুলিশ ব্যুরো প্রধান) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পিবিআই তদন্ত দায়িত্ব গ্রহণ করার পূর্বে  আসামিরা মাননীয় হাই কোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জন্যে আগাম জামিন  নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করছে এবং গতকাল ছিলো আগাম জামিনের শেষ দিন।
মামলা সুত্রে জানা যায় যে,বিগত  ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার  রাতে বন্ধু পৌলিনুস ডিব্রা  ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান করেন রঞ্জিত রাফায়েল মান্ডা। কর্মস্থল মদনমোহনপুর চা বাগানের মিশনারী কমিউনিটি স্কুল থেকে নিজের মোটরবাইক নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে তিনি যোগদান করেন। তাই তার পরিবারের কেউ জানতো না সে কর্মস্থল থেকে ওই অনুষ্ঠানে যোগদানের কথা। এভাবেই কেটে যায় শক্রবার(২২জুলাই) ।এ সময়ের মধ্যে তার পরিবারের সদস্যরা জানতো না সে কোথায়। তার স্ত্রী মিশনারী স্কুলের শিক্ষিকা উচ্চ প্রশিক্ষণের জন্যে রয়েছে যশহরে । শনিবার (২৩জুলাই) সকালে বন্ধু পৌলিনুস ডিব্রা  বাড়ির হাটুজল পানি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মিলে রঞ্জিতের মরদেহ। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য  মৌলভীবাজার মর্গে পাঠায়। রঞ্জিতের দেহ বিকৃত হলেও তার ঘাড়ে আঘাত ও দাত ছিলো ভাঙ্গা। মুখমন্ডল ও চোখে আঘাত। রঞ্জিতের ব্যবহার করা মোটরসাইকেল ছিল তার বন্ধু পৌলিনুস ডিব্রা বাড়ির আঙিনায় ও তার ঘরে ছিল  ব্যবহৃিত মোবাইল ফোন এবং সাইট ব্যাগটি।
Share.
Exit mobile version