স্পোর্টস ডেস্ক।। আরব বিশ্বে প্রথম বিশ্বকাপ। শীতকালে প্রথম বিশ্বকাপ—কাতার বিশ্বকাপ এসব ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে, সে তো আগেই জানা। এবার অভিষেক ম্যাচেও হলো নতুন ইতিহাস। সে ইতিহাস ইকুয়েডরের ফরোয়ার্ড এনার ভ্যালেন্সিয়ার।
ভ্যালেন্সিয়ার গল্পে যাওয়ার আগে ম্যাচের স্কোরলাইনটা জানিয়ে রাখা ভালো। সেটি কাতার সমর্থকদের মোটেও ভালো লাগবে না। স্বাগতিকদের ২–০ গোলে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে ইকুয়েডর। স্বাগতিক দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া প্রথম দলও কাতার।
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতার ওপরের দুটি তালিকায় নাম লেখাতে পারবে না—এ কথার পক্ষে বাজি ধরার লোকের সংখ্যাই বেশি হবে। ইকুয়েডর এর আগে তিনবার বিশ্বকাপ খেলে একবার শেষ ষোলোতেও (২০০৬) উঠেছে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়েও কাতারের (৫০) চেয়ে এগিয়ে ইকুয়েডর (৪৪)। আর লাতিন দলটিতে যদি থাকেন ভ্যালেন্সিয়ার মতো সুযোগসন্ধানী ফরোয়ার্ড, তাহলে তো কথাই নেই! আল বায়তও মাতল লাতিন সৌরভে।
প্রথমার্ধে সেটাই দেখা গেল। টুইটম্বুর স্টেডিয়ামে ৫ মিনিটেই হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ভ্যালেন্সিয়া। চুপসে গেল স্টেডিয়ামের সাদা শিবির, কাতারের সমর্থকেরা। অন্য প্রান্তে উঠল হলুদ ঢেউ। কিন্তু নাটকও শুরু হলো তখনই! ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) জানালেন, গোলটি অফসাইড। ফেলিক্স তোরেসের ওভারহেড কিক থেকে ভ্যালেন্সিয়া হেড করার সময় অফসাইড ছিলেন। ব্যস, বাতিল হয় গোল। তবে ভ্যালেন্সিয়াকে স্কোরকার্ডে নাম লেখানো থেকে দূরে রাখা যায়নি। ৩–৪–৩ ফর্মেশন থেকে কখনো কখনো ৫–৪–১ হয়ে যাওয়া কাতারের মিডফিল্ড ইকুয়েডরের মিকাইল এস্ত্রাদা ও ভ্যালেন্সিয়াকে বল পাওয়া থেকে দূরে রাখতে পারেনি। আর তাঁদের ঠেকাতে না পারার ধারাবাহিকতা থেকেই ১৫ মিনিটে এল প্রথম গোল।