বিনোদন ডেস্ক।। দিন কয়েক আগে নিজের জন্মদিনে ফেসবুকে শাকিবের কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পাওয়ার দাবি করে একটি পোস্ট দেন। তার পরবর্তীতে ‘শাকিবের কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল পেয়ে বুবলীর চোখে জল’—এমন শিরোনামের একটি সংবাদ নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে একাধিক হাসির ইমোটিকন দেন অপু। শুধু তা-ই নয়, অপু লিখেছিলেন, ‘কী যে মজা, মজা।’

এরপরই ভার্চুয়াল জগতে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এই দুই অভিনেত্রী। একে অন্যের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করতে দেখা যায় তাদের। যদিও সে সময় যাকে ঘিরে দুই নায়িকার টানাটানি সেই সুপারস্টার নায়কই চুপ ছিলেন। তবে অবশেষে বিষয়টিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন শাকিব। সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, বুবলীকে নাকফুল উপহার দেননি। এমনকি তাদের মাঝে যে আর সম্পর্ক নেই সেটিও স্পষ্ট করেন। আর এতেই শাকিব-বুবলীর বিচ্ছেদ গুঞ্জন যে সত্য সেটা ওপেন সিক্রেট থেকে সিক্রেটে পরিণত হয়েছে।

গণমাধ্যমে শাকিব নাকফুল প্রসঙ্গে বলেন, ‘সবাইকে আশ্বস্ত করে একটা কথা বলতে চাই, কোনো ধরনের ডায়মন্ড নাকফুল আমি তাকে উপহার দিইনি। সত্যি কথা বলতে, তার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। উপহার দেওয়া কিংবা উইশ করা, কোনোটাই আমার পক্ষ থেকে হয়নি। সন্তানের প্রয়োজনে সে আমাকে বা আমি তাকে লিখলেও তা শুধু শেহজাদকে কেন্দ্র করে যতটুকু দরকার, ততটুকুই হয়, এর বাইরে আর কোনোকিছুর প্রশ্নই আসে না।

তাহলে কী বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন আপনারা?—এমন প্রশ্নে শাকিব আরও বলেন, ‘একটা কথা নিশ্চিত করে বলতে চাই, অপু বিশ্বাস ও বুবলী দুজনেই এখন আমার কাছে অতীত। সংসার ভাঙার জন্য কেউই সম্পর্ক করে না। আমিও তেমনটাই ভেবে করেছি। কিন্তু সম্পর্কটা করতে গিয়ে একটা সময় দেখলাম, তা আর হেলদি জায়গায় নেই। চেষ্টা হলো, কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হলো।’

তবে বিচ্ছেদের বিষয়টি অনেকটাই স্পষ্ট হলেও তাদের তর্কাতর্কি সেখানেই থেমে নেই! শাকিবের অবস্থান পরিষ্কারের পরই আবার মুখ খুলেছেন বুবলী।

গণমাধ্যমকে বুবলী বললেন, ‘শাকিব খানের সাক্ষাত্কারটি দেখে আমি অবাক হয়েছি। সাক্ষাত্কারে সে যেভাবে বিবৃতি দিয়েছে, এটি আমার জন্য অনেক অপমানজনক। সে কীভাবে এটি অস্বীকার করল, আমার মাথায় আসছে না।’

এছাড়া নিজের সম্পর্ক ভাঙনের জন্য তৃতীয়পক্ষকে (অপু বিশ্বাস) দায়ী করে তিনি আরও বলেন, ‘শাকিব খানের এমন আচরণে সন্দেহ হচ্ছে। আমার সন্দেহ হচ্ছে, তৃতীয়পক্ষ একজনের ইন্ধন আছে এখানে। এসব শাকিব খানের সঙ্গে তার পূর্বের সম্পর্কের মাঠ তৈরির প্রস্তুতি কি-না, এটাও ভাবার বিষয়। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ের আগের ও পরের পুরো বিষয়টি সবার সামনে এখন তুলে ধরা উচিত আমার। এসব মিথ্যাচার আর ভালো লাগছে না।’

তিন তারকার এমন তর্ক-বির্তক আর অভিযোগ কোথায় গিয়ে শেষ হবে সেটাই এখন বিনোদনপ্রেমীদের কাছে আলোচনার খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে!

Share.
Exit mobile version