বিশেষ প্রতিনিধি।। নিজ কন্যার সহি জালিয়াতি করে আদালতের আশ্রয় নিয়ে কন্যার অংশিদারিত্বের মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করেছেন কন্যার নিজ জন্ম দাতা মা মাসুদা পারভীন।
এমনটি ঘটয়েছেন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের পূর্ব মুন্ডপাশা গ্রামের তিন সন্তানের জননী মৃত এবিএম সিদ্দিকের স্ত্রী মাসুদা পারভীন।
মাসুদার জন্মদাতা কন্যা স্বামী পরিত্যাক্ত অসহায় এক সন্তানের জননী শামীয়া আফরোজ পপি জানায় , আমার বাবা এবিএম সিদ্দিক গত ২৩ জুলাই ২০২১ ইং ডায়াবেটিকস জনিত রোগে আক্রান্ত হয় মারা যায়। মৃত কালে আমার মা মোসাঃ মাসুদা পারভীন সহ তিন কন্যা সন্তানকে রেখে গেছেন বাবা সিদ্দিকুর রহমান।
তার জীবদ্দশায় আমাদের সুখের কথা চিন্তে করে তার চাকুরীরত টাকা থেকে একাংশ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর রুপোলী ব্যাংক শাখার ৩৩৮৪০১০০০০২২৩ হিসাব নাম্বারে আমার বাবার জীবদ্দশায় সাতত্রিশ লক্ষ তেষট্টি হাজার আটশত ত্রিশ টাকা রেখে মারা যান বাবা সিদ্দিক।
বাবা মারা যাওয়ার পরক্ষণে আমার মা মাসুদা বেগম আমার বড় বোন ইসরাত জাহান শাম্মি ও তার স্বামীর মিথ্যা প্রলভনে পরে আমার অগোচরে আমার সহি জালিয়াতি করে বরিশাল যুগ্ন জেলা জজ ১ ম ডেলিগেট আদালতে সাকসেশন মোকদ্দমা দায়ের করেন। এবং আমার মাতা মোসাঃ মাসুদার নামে টাকা উত্তোলনের সর্বপরি ক্ষমতা চেয়ে আদালতে মামলা করেন যার মামলা নংঃ- ০৩/ ২০২১। বিজ্ঞ আদালত সে মতে আমার মা মাসুদাকে টাকা উত্তোলনের সর্বপরি ক্ষমতা প্রদান করেন।
তারি ধারাবাহিকতায় কন্যা পপির অজান্তে জালিয়াতির মাধ্যম্যে মা মাসুদা ও পপির বড় বোন ইসরাত জাহান শাম্মির স্বামী আরাফাত হোসেন সোহাগ সকল টাকা ব্যাংক ধেকে উত্তোলন করে নিয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পপি। এ ছাড়াও পৈত্রিক সম্পতি থেকে চীর বঞ্চিত করার পায়তারা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সামিয়া।
যদিও অংশ হিসেবে প্রত্যেক বোন দশ লক্ষ সাতানব্বই হাজার সাতশত তিরাশি টাকা পঁচাত্তর পয়সা পাওয়ার কথা থাকলেও শামিয়া আফরোজ পপিকে দেয়া হয়নি কোন টাকা এমনটি জানিয়েছেন শামীয়া পপি।
অপর দিকে পপি আরো জানান, তার মা মাসুদা বড় বোন শাম্মি তার উপর জীবনের হুমকি হওয়ায় আদালতে জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছেন।
পপি পিতার জন্ম দাতা সন্তান হিসাবে অংশ মোতাবেক সমস্ত টাকা ফিরে পেতে প্রশাসনের সর্ব মহলের সহোযোগিতা কামনা করছেন।।