বিশেষ প্রতিনিধি ।। বাগমারার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের বিলশনি গ্রামে জামিনে বেরিয়েই বাদীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে দরজা-জানালা ভাঙচুর ও টিনের চালায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে আসামিরা। মামলা তুলে না নিলে বাদীকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন এলাকাবাসী। বিলশনি মৎস্যজীবীপাড়া ব্রিজসংলগ্ন সড়কের দুপাশে এ কর্মসূচি পালন করেন বিলশনি মৎস্যজীবীপাড়ার শতাধিক নারী-পুরুষ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিলশনি মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মামনুর রশীদের সঙ্গে বিলশনি গ্রামের আকবর আলীর বসতবাড়ির জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরে গত ১২ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে সোনাডাঙ্গা বটতলা মোড় থেকে মামনুর রশীদ বাড়ি ফেরার সময় বিলশনি মৎস্যজীবীপাড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছামাত্র মোজাম্মেল হক, আব্দুস সাত্তার, আকবর আলী, খলিল, জলিল, আব্দুর রাজ্জাক হেতু, কালাম, আশরাফুল ও জামালসহ ১৬-১৭ জন সন্ত্রাসী ধারালো হাসুয়া, ছোরা, জিআই পাইপ, লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।

হামলাকারীরা হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে মামনুর রশিদের ডান হাতের আঙ্গুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। জিআই পাইপ ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার মেরুদণ্ডের হাড়, ডান হাতের কব্জির উপরে হাড় ও বাম পায়ে হাঁটুর নিচে হাড় ভেঙে পঙ্গু করে দেয় এবং গলা টিপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।

এ সময় মামনুর তার বুক পকেট থেকে ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। মামনুর রশিদকে স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলায় মুামনুর রশিদ আজীবনের মতো পঙ্গু হয়ে যান।

ওই ঘটনায় মামনুর রশিদ বাদী হয়ে আকবর আলী ও মোজাম্মেল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার কয়েকজন আসামি বৃহস্পতিবার আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর এলাকায় এসেই বাদীর বসতবাড়িতে হামলা চালায় এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দেয়।

মামলা তুলে না নিলে বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বাদী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন শেষে সোনাডাঙ্গা বটতলা মোড়ে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বিলশনি মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সদস্য সেকেন্দার আলী, ছাত্রনেতা আবু হেনা ও ভিকটিমের বাবা কমেশ আলী প্রমুখ।

Share.
Exit mobile version