রাঙা প্রভাত ডেস্ক।। নানা কারণে অবসাদ থেকে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। অনেকে আবার যন্ত্রণাহীন মৃত্যুর পদ্ধতি বা সহজ উপায় খোঁজেন গুগলে। আর এসব অবসাদগ্রস্তকে সহযোগিতা করতে নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেছে জনপ্রিয় এই সার্চ ইঞ্জিন।
জনপ্রিয় টেক সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গুগলে আত্মহত্যা সংক্রান্ত প্রশ্ন করলে তার উত্তর সম্পর্কিত রেজাল্টের পাশাপাশি একটি আগে থেকে লেখা প্রম্পট ফুটে উঠবে স্ক্রিনে। সেটি অবসাদগ্রস্তদের সবচেয়ে দুর্বল মুহূর্তে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করবে। ওই মানুষদের পাশে থাকার প্রচেষ্টা করবে সার্চ ইঞ্জিনটি।
কনজুমার মেন্টাল হেলথের ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর ডাক্তার মেগান জোনস গুগল ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন, কেউ এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে থাকলে, তাদের অভিজ্ঞতাকে শব্দে প্রকাশ করা কঠিন। তাদের সাহায্যের জন্য কী বলা উচিত তা-ও অনুমান করা যায় না।
তিনি বলেন, এবার থেকে কেউ আত্মহত্যা সম্পর্কিত শব্দগুলো সার্চ করলে তারা কথোপকথন শুরু করার জন্য একটি প্রম্পট দেখতে পাবে। সেখানে ক্লিক করে তারা টেক্সট মেসেজ পাঠাতে পারে। এই ফিচার শিগগিরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে।
তবে অন্যান্য দেশের ইউজারদের জন্য এই প্রম্পট থাকবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি গুগল। যদিও সুইসাইড প্রিভেনশন তথ্য বহু বছর ধরে গুগল সার্চে দেখা যায়। বর্তমানে অল্প বয়সী অনেক ছেলেমেয়ে অবসাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। তাদের জন্য এই প্রম্পট কার্যকরী হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
আত্মহত্যা ছাড়াও ক্ষতিকর খাবারের অভ্যাস কমাতে ওই সংক্রান্ত কন্টেন্ট মুছে দিতে শুরু করেছে গুগল। পাশাপাশি ক্ষতিকর খাবার সংক্রান্ত বয়সভিত্তিক কন্টেন্টের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আনতে যাচ্ছে গুগল।
জানা গেছে, ক্ষতিকর খাবারসংক্রান্ত ভিডিওর রিলেটেড সেকশনে এবার ক্রাইসিস রিসোর্স প্যানেল যোগ করা হবে। যখন কেউ এ ধরনের কনটেন্ট সার্চ করবে বা দেখবে, তখন তাদের কাছে যেন তার ক্ষতিকর রূপ সম্পর্কে বার্তা পৌঁছায়।
সূত্র: এই সময়