বিশেষ প্রতিনিধি।। নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি বেতন ৩০-৪০ হাজার টাকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতে ‘বি অ্যালার্ট সিকিউরিটি সার্ভিস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকার আজমপুর কাঁচাবাজারের হাসান কমপ্লেক্সে ওই প্রতিষ্ঠানের অফিস।

ভালো অংকের বেতন তবে চাকরি পেতে দিতে হবে মোটা জামানত। এভাবে বেকার তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে নেয়া হয় মোটা অংকের টাকা। যে ফাঁদে পা দেন বেকার যুবক-যুবতীরা। টাকা দেয়ার এক পর্যায়ে বুঝতে পারেন হয়েছেন প্রতারণার শিকার। অভিযোগ আছে, টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে ধর্ষণেরও শিকার হয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। এছাড়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব লুটে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধেও।
এভাবেই বেশ কয়েক বছর ধরে অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার রিয়াজুল হক ও তার স্ত্রী আনোয়ারা খানম আলো। ঘটনার তল খুঁজে দেখতে প্রতিষ্ঠানটির অফিসে হাজির হয় চ্যানেল টোয়েন্টিফোর। ক্যামেরা দেখে শুরু হয় কর্মকর্তাদের ছুটোছুটি, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির মিলিক রিয়াজুল পালিয়ে গেলেও ধরা পড়েন স্ত্রী আনোয়ারা খানম।

ভুক্তভোগী এক নারী জানান, মাসে ২০ হাজার টাকা বেতনে যোগ দিলেও তিন মাসে বেতন দেয়া হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা। আরেকজন জানান, চাকরি দেয়ার নামে ৩০ হাজার টাকা নিলেও তারা কোন চাকরি দেয়নি। এটা একটা সম্পূর্ণ প্রতারণার অফিস।

শুরুতে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর জেরার মুখে স্বীকার করেন দায়।

এমন চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি আইন-শৃংখলা বাহিনীর। র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত স্টাফরা চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও তুলে রাখে। পরবর্তীতে এসব ছবি ও ভিডিওর ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইল করতে থাকে।

পরে গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বাধ্য হয়ে দুই ভুক্তভোগীর টাকা ফেরত দেয় বি সিকিউরিটি।

Share.
Exit mobile version