বিশেষ প্রতিনিধি।। ভিক্ষুকরাও নিতে চাচ্ছে না এক ও দুই টাকার কয়েন। ছোট-বড় ব্যবসায়ী, হাট বাজার কোথাও চলে না এই কয়েন। গত দুই বছর ধরে অজানা কারণেই পাবনার কিছু এলাকাসহ কুষ্টিয়া জেলাজুড়ে অচল হয়ে পড়েছে এই কয়েন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কোনো ব্যাংক নিতে চায় না, ফলে অচল হয়ে পড়েছে কয়েনগুলো। ব্যবসায়ীরা বলছেন জনসচেতনতার অভাব, তাছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিলে জেলায় আবারও সচল হবে এক ও দুই টাকার কয়েন।

পাবনার কিছু এলাকা ও কুষ্টিয়ার হাট-বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়ে খুচরা টাকা ক্রেতা অথবা বিক্রেতা উভয়ই ছাড় দিয়ে চলছেন। বড় ব্যবসায়ীরা এসব টাকা গ্রহণ করতে চায় না। তাছাড়া ব্যাংক থেকেও পড়তে হয় নানা ঝামেলায়। এ কারণে একেবারেই বন্ধ হয়েছে এই কয়েনের আদান প্রদান। ভুক্তভোগী জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন সব ব্যাংকগুলো এই কয়েন নিলে এই সমস্যার সমাধান হবে।

এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের কুষ্টিয়া শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের একই নীতিমালায় চলে সব ব্যাংকগুলো। ব্যাংকে কিছু খুচরা কয়েন রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমার এখানে যথেষ্ট পরিমাণে কয়েন রাখা আছে।

জানতে চাইলে কুষ্টিয়া বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কৌশিক আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ীরা কয়েন নিচ্ছে না কারণ ব্যাংকগুলো নিচ্ছে না। এগুলো না নেয়া অপরাধ। সরকার থেকে কয়েনগুলো বাতিল করা হয়নি। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করবো যেন এ ব্যাপারে জোরালো নির্দেশনা দেয়।

এদিকে, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজা বলেন, কয়েনগুলো বৈধ, যেহেতু সরকারিভাবে কয়েনগুলো নিষিদ্ধ না, সেহেতু এগুলো নেয়ার আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

তিনি বলেন, জেলায় সকল ব্যাংকের প্রতিনিধিত্ব করে সোনালি ব্যাংক। সব ব্যাংকে দেয়ার জন্য আমি চিঠি ইস্যু করবো। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে, তবে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে রিপোর্ট করবো।

Share.
Exit mobile version