গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি।।  কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বরিশালের গৌরনদীতে ডিএমএফ ডিগ্রিধারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিক্যাল কর্মকর্তা (চিকিৎসা সহকারী) মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে রিপোর্ট প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তার (মামুন) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই চিকিৎসা সহকারী বাবুগঞ্জের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের জাহাপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিজেকে চিকিৎসক দাবী করে দীর্ঘদিন যাবত প্রত্যন্ত এলাকার কয়েকটি ক্লিনিকে বসে রোগীর আল্টাসনোগ্রাম করানোর লিখিত উপদেশ দিয়ে নিজেই আল্ট্রাসনোগ্রাম করে রিপোর্ট প্রদান করে আসছেন চিকিৎসা সহকারী মামুন মিয়া। গত ২৮ জুলাই উপজেলার সরিকল বাজারের হেলথ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারে এক রোগির ব্যবস্থাপত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাম করানোর উপদেশ দেন এবং নিজেই আল্ট্রাসনোগ্রাম সম্পন্ন করে তার রিপোর্ট প্রদান করেন। এনিয়ে তার (মামুন মিয়া) বিরুদ্ধে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান সোমবার দুপুরে জানান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের নির্দেশ অমান্য উপ-সহকারী কর্মকর্তা মামুন মিয়া তার ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসা সহকারী না লিখে ডাঃ শব্দটি লিখে আসছেন। এমনকি রোগির ব্যবস্থাপত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাম করানোর নির্দেশ দিয়ে নিজেই আল্ট্রাসনোগ্রাম করে রিপোর্ট প্রদান করেছেন। সে (মামুন) ভূয়া সনোলজিষ্ট হিসেবে প্রমানিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত সুপারিশ পাঠানো হবে। এব্যাপারে অভিযুক্ত মামুন মিয়া বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। আমি সিএমইউ কোর্স করে চার বছর যাবত আল্ট্রাসনোগ্রাম করে আসছি।
উল্লেখ্য, রোগীকে আল্টাসনোগ্রাম করানোর লিখিত উপদেশ দেওয়া, আল্ট্রাসনোগ্রাম করা কিংবা রিপোর্ট প্রদান করা ডিএমএফ ডিগ্রিধারীগণের নির্ধারিত কর্মপরিধির বহির্ভূত বলে গণ্য করেছে বিএমডিসি। এমনকি তাদেরকে চিকিৎসক না বলে “চিকিৎসা সহকারী”

Share.
Exit mobile version