রফিকুল ইসলাম রনি :– দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বরিশাল-৩ আসন (সংসদীয় ১২১ ) নিয়ে স্থানীয়ভাবে চলছে নানা আলোচনা। বিএমপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি দুইদল এরইমধ্যে মাঠে নেমে পরেছে। বসে নেই ওয়ার্কার্স পার্টির সম্ভ্রাব্য প্রার্থী। এদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনায়ন পত্রও কিনছেন প্রার্থীরা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) কে এ আসনে ছাড় দিলেও দ্বাদশ নির্বাচনে আসনটি ছাড় দিতে নারাজ ক্ষমতাশালী দল আওয়ামী লীগ। তবে শেষ পর্যন্ত জোট-মহাজোট না এককভাবে রাজনৈতিক মেরুকরণ হবে সেই দিকেই নজর সবার। তাই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৃনমুলে মাঠ চষে বেড়ানোর ব্যস্ততা ততই বেড়ে যাচ্ছে। ব্যতিক্রম ঘটেনি দখিনের অন্যতম জনপদ, সন্ধ্যা, সুগন্ধা, আড়িয়াল খা ও জয়ন্তী নদীবেষ্টিত বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) নির্বাচনি এলাকায়।
একসময় উজিরপুর ও বাবুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ছিল বরিশাল-২ আসন নির্বাচনি এলাকা ছিলো। বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচনে সীমানা পূননির্ধারন করে বাবুগঞ্জের সাথে মুলাদী যুক্ত করে বরিশাল-৩ আসন গঠন করা হয়েছিলো। মুলাদী ছিল বরিশাল-৪ আসনের অন্তরভ্ক্তু।
তখন এ আসনটি একসময় বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত ছিলো। তবে দলটির গত ২০১৮ সালে নির্বাচনে না আসায় এবং তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ দল ক্ষমতায় থাকায় এই আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বিগত সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মহাজোটের মনোনয়ন নিয়ে এই আসনে জয়ী হয়েছেন। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বিজয়ের হাসি হাসতে চায় বাংলাদেশের শক্তিশালী দল আওয়ামী লীগ।
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মনোনায়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব সিরাজউদ্দিন আহমেদ, বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার মোঃ খালেদ হোসেন স্বপন ও বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য যুবনেতা আতিকুর রহমান, বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী এমদাদুল হক দুলাল, মো: মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুল আলম, ড.মোহাম্মদ আমিনুল হক কবির, মিজানুর রহমান, সাফায়েত হোসেন।
তবে জোটভূক্ত নির্বাচন হলে এ আসনে ১৪ দল থেকে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী সাবেক এমপি বরিশাল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শেখ মোঃ টিপু সুলতান। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্তমান এমপি গোলাম কিবরিয়া টিপু রয়েছেন।
এদের মধ্যে বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভপিতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার মোঃ খালেদ হোসেন স্বপন ঐ এলাকার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী করতে দিনরাত মাঠ পর্যায়ে কাজ করায়, দলের তৃনমূল নেতাকর্মী কাছে প্রাণের ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন বলে জানান তিনি (স্বপন) ।
তাই বাবুগঞ্জ আওয়ামী লীগরে একপক্ষ দলীয় নের্তৃবৃন্দ ও এলাকাবাসি সরদার মোঃ খালেদ হোসেন স্বপনকে এবং বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আরেক পক্ষ যুবনেতা আতিকুর রহমানকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্থক্ষেপ কামনা করেন।