মোঃ ইব্রাহীম।।
মুসলিম নাম ধারণ করে ইসলামিক ধারায় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করি আমরা কয় জন? এখানে সাথে সাথেই শাস্তি দেয়া হয় না। কারণ আল্লাহ্ সুযোগ দেন এবং সর্বোচ্চ পর্যায়ের দয়ালু।
যে যার মত যে কোন কাজ করার স্বাধীনতা রয়েছে তেমন মতামত দেয়া চিন্তা করার স্বাধীনতা রয়েছে।
শরীফ শরিফার গল্প অবলম্বনে নিঃসন্দেহে সহজ সাবলীল ভাবে ভিন্ন অর্থ বুঝতে পারে মানুষ। যেখানে ছেলে হয়ে মেয়ে ভাবা কিংবা মেয়ে হয়ে ছেলে ভাবা। যেমন কিছুদিন আগে পোশাকের স্বাধীনতা নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। এখানেও যে যেমন ইচ্ছে পোশাক পরিধান করতে পারে।
উভয় ক্ষেত্রেই যদি ব্যাক্তি বিশেষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে আমজনতার মাথা ব্যথার কারণ নেই। কিন্তু যখনই তা সমাজকে প্রভাবিত করে তখন কথা বলতেই হয়।
শরীফ শরিফা তে দেখা যায় মনে মনে মেয়ে ভেবে একজন মেয়েদের কাছে চলে গেলো। আবার এই গল্পে তাদের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অন্যের বাচ্চা হলে আশীর্বাদ করে টাকা নেয়ার বিষয় উল্লেখ্য আছে এখানে পরোক্ষ ভাবে কি তাদের চাঁদাবাজীর বিষযে সমর্থন দেয়া হলো না?
অথচ দেশ হিজড়া সম্প্রদায়ের চাঁদাবাজীর যন্ত্রণায় অতিষ্ট। অনেক সিন্ডিকেট করে ভালো মানুষকে তুলে নিয়ে সার্জারীর মাধ্যমে হিজড়া বানাচ্ছে। আবার যখন এইভাবে খুব সহজেই আয় করা যায় তাই নিজেই ভালো মানুষ হলেও হিজড়ার ভান ধরে। এটা অবশ্যই সাংঘর্ষিক। এগুলো পাঠ্যবই এ অন্তর্ভুক্তির আগে চিন্তা করা উচিৎ ছিলো।
হিজড়া সম্প্রদায় কে আইন অধিকার দিয়েছে। তাদের নিয়ে আরো উন্নত গল্প লেখা যেতো যেখানে তাদের সম্মান সমাজে প্রতিষ্ঠিত হত। অনেক তৃতীয় লিজ্ঞের লোকজনও এখন চাঁদাবাজী কে পছন্দ করে না।
তারা মনে মনে ভেবে ছেলে কিংবা মেয়ে তৃতীয় লিংগ হয়ে যাওয়া নিছক আনকোড়া এবং ভিন্ন অর্থ বুঝায়। বরং তাঁরা প্রাকৃতিক ভাবেই তৃতীয় লিংগ ধারণ করে।
আর সবাই প্রকৃতিগত কিংবা জন্মগত যেকোন উপাদানকে শ্রদ্ধা করে।
তাছারা ইসলামে এই ধরণের আচরণ এবং কাজকর্মকে সীমালঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা গর্হিত অন্যায় এবং পাপ।