গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি।।  বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুকে গুলি করে ও কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে।

আহতের স্বজন ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাটাজোর বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়ার সাথে গণসংযোগে যায় ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ ও তার সমর্থকরা। এসময় সেখানে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক মেয়র হারিছুর রহমানের সমর্থক দিলু হাওলাদার, মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রাঢ়ী সহ অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসীরা ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমান নিজে উপস্থিত হয়ে দ্বিতীয় দফায় ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর ওপর গুলি চালায় এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের পিকলুকে মেরে ফেলার নির্দেশ দেয় বলে অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের স্বজনদের। হারিছুর রহমানের এমন নির্দেশের পরপরই তার সন্ত্রাসী বাহিনী পিকলুকে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে জখম করে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় ইউপি চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেল চালক পলাশ হাওলাদারকে উপর্যপুরি ভাবে কুপিয়ে জখম করা হয়। একপর্যায়ে সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের স্বজনরা মূমূর্ষ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানেও আহতদের অবরুদ্ধ করে রাখে হারিছের ক্যাডাররা। এসময় হামলার খবরপেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ভাই সলিল গুহ পিন্টু, মা তাপসি রানী গুহ ও স্ত্রী বিপাসা গুহ হাসপাতালে তাকে দেখতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মোবাইল টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যায়। স্বজনরা অভিযোগ করে আরও বলেন, হারিছ বাহিনীর ক্যাডাররা শুধু হামলা আর অবরুদ্ধ করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। তারা আহতদের যাতে কোথায়ও নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ করে দেয়। এমনকি বাহিরের কোন এ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে বা বের হতে দেয়নি। পরে পুলিশ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরি হাসপাতালে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করেন। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমান হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের হামলায় হারিছুর রহমানের সমর্থক দিলু হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Share.
Exit mobile version