রাঙা প্রভাত ডেস্ক।। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। তবে বিগত সরকারের পটপরিবর্তনের পরও কোনো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা খুঁজে পাচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 
দুই ডেপুটি গভর্নরের (ডিজি) বিরুদ্ধে এস আলমের মতো গ্রুপকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, ডেপুটি গভর্নর (ডিজি) নুরুন নাহার এবং ড. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার নেই বর্তমান গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) পর্যন্ত সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, ঋণ জালিয়াতি, অবৈধ সুবিধা গ্রহণ এবং অন্যান্য অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নামে-বেনামে অনেক অভিযোগ আসে। আমাদের এইচআর সেটা খতিয়ে দেখেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গভর্নর বরাবর না এলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না।’
ব্যাংকগুলোয় তারল্যসংকট প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, একযোগে অধিক গ্রাহক টাকা তুলতে গেলে পৃথিবীর কোনো ব্যাংকই টিকবে না। কিছু গ্রাহকের আমানতের টাকা উত্তোলনের প্রয়োজন হচ্ছে না, তারপরও অনেক গ্রাহক টাকা তুলতে যাচ্ছেন। ফলে কিছু কিছু ব্যাংকের তারল্যসংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। অপ্রয়োজনে বা এক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অন্য ব্যাংকে রাখার প্রবণতা না কমলে সব গ্রাহকের টাকা একসঙ্গে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।
গ্রাহকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গ্রাহকের আমানতের টাকা নিয়ে আতঙ্কের কিছুই নেই, সবাই তার আমানতের টাকা ফিরত পাবেন। তবে আমি গ্রাহকদের উদ্দেশে বলব, অহেতুক আতঙ্কের কিছু নেই। কিছুটা সময় লাগবে ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপরিকল্পনা আছে ব্যাংকগুলো ভালো অবস্থানে নিয়ে আসতে। সব আমানতকারীকে আহ্বান করছি, প্রয়োজনের বেশি টাকা আপনারা তুলবেন না। আমরা আস্থা ফেরাতে চাই। আমরা সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে গত দেড় মাসে ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সাপোর্ট দিয়েছি। যদি আরও বেশি সাপোর্টের প্রয়োজন হয়, তাহলে সে বিষয়েও বিবেচনা করা হতে পারে। তবে ব্যাংকগুলো নিয়ে বেশি আতঙ্কের কিছু নেই।’
Share.
Exit mobile version