বরিশাল অফিস:- জেলার হিজলা উপজেলা সদরের হাসপাতাল রোড এলাকার চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করায় একলাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে আদালত চারজনকে কারাদন্ড প্রদান করে। মঙ্গলবার সকালে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাব-৮ বরিশাল সদর দপ্তর।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হিজলা উপজেলায় কয়েকটি ডায়গনস্টিক সেন্টার প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এমন সংবাদ পায় র্যাব-৮। এরপর র্যাবের একটি আভিযানিক দল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলামের সমন্বয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তারা। এসময় মেডিকেল ফিজিওথেরাপি সেন্টারের মালিক মাসুম বিল্লাহ (৩৩), সান এক্স-রে এন্ড আলট্রাসোনিক সেন্টারের মালিক জালাল হক (৪৫) ও টেকনিশিয়ান জাহিদুল ইসলাম (২৯), সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক রুহুল আমিন (৪৫) ও ম্যানেজার জাকির হোসেন (২৮) এবং রেমিডি মেডিকেল সার্ভিসেস সেন্টারের মালিক খলিলুর রহমান (৩২) ও টেকনিশিয়ান অনন্ত কুন্ডকে (২৫) আটক করা হয়।
তাদের ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে তল্লাশি চালিয়ে ব্যবহার অনুপযোগি চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জমাদি পাওয়া যায়। তাছাড়া মেয়াদ উর্ত্তীণ ওষুধ রাখা, সার্বক্ষণিক ডাক্তার না থাকা, বিভিন্ন সার্টিফিকেট না থাকা এবং অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে এরা ব্যবসা পরিচালনা করছিলো। এমনকি তাদের স্বপক্ষে কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতেও ব্যর্থ হয়। তারা সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে ডায়গনস্টিক সেন্টারের ব্যবসা করছে যা খুবই বিপজ্জনক।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করায় মোবাইল কোর্টের বিচারক আটককৃত মাসুম বিল্লাকে ২০ হাজার টাকা, জালাল হককে ২০ হাজার টাকা, জাহিদুর ইসলামকে এক মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড, রুহুল আমিনকে ২০ হাজার টাকা, জাকির হোসেনকে এক মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড, খলিলুর রহমানকে ৪০ হাজার টাকা ও দুই মাসের বিনাশ্রম কারদন্ড এবং অনন্ত কুন্ডকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডসহ সর্বমোট এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে। মঙ্গলবার দুপুরে দন্ডপাপ্ত চারজনকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।