রাঙা প্রভাত ডেস্ক:- কুড়িগ্রামের নাগেশ্বর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অসুস্থ সেই ছাত্রীকে কুড়িগ্রাম জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গেল রোববার বিকেলে উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের গোপালপুর বোর্ডেরহাট বাজারের একটি ভাঙারি দোকানে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা নাগেশ্বরী থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সুজন মিয়া (৩৫) পলাতক রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শিশুটি গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। গেল রোববার বিকেলে সে তার বাড়ির পাশে গোপালপুর বোর্ডেরহাট বাজারে পুরাতন বই কিনতে যায়।

এ সময় আশেপাশে লোকজন না থাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সুজন মিয়া তাকে কৌশলে দোকানে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানেই সুজন শিশুটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে।

পরে কাউকে কিছু না বলার জন্য শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। রাতে রক্তপাত শুরু হলে পরিবারের কাছে ঘটনাটি জানায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি। পরে রাত দেড়টার দিকে শিশুটিকে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সোমবার বিকেলে তাকে কুড়িগ্রাম জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে নাগেশ্বরী থানায় ধর্ষক সুজন মিয়াকে (৩৫) আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। ধর্ষক সুজন সন্তোষপুর ইউনিয়নের হারাগিলিরপাড় গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে।

নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন কবির জানান, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Share.
Exit mobile version