রাঙা প্রভাত ডেস্ক:- নেপালে লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি করায়, বিপাকে পড়েছেন পর্যটক আর পবর্তারোহীরা। হিমালয় কণ্যা হিসেবে পরিচিত দেশটি ৭ এপ্রিল পর্যন্ত অবরূদ্ধ থাকবে। ফলে, শুধু ৩ থেকে ৪ হাজার মার্কিনীই আটকা পড়েছেন নেপালে; রয়েছেন অস্ট্রেলীয়-জার্মান নাগরিকরাও। তাদের উদ্ধারে সীমিত পরিসরে চালু রাখা হয়েছে বিমান ফ্লাইট। যদিও, আগামী মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে বর্হিবিশ্বের সাথে বিমান চলাচল।

এরআগে, মাত্র দু’জনের শরীরে করোনা শনাক্তের পরই গোটা দেশ লকডাউন করে নেপাল; ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলো এবার সময়সীমা। যেকোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বড় মার্কেট বা যান চলাচল সবই বন্ধ। টুরিস্ট ডেস্টিনেশন নেপালের জন্য যা বড় দুঃসংবাদ।

বিমান চলাচল স্থগিত করায় বাধ্য হয়েই দেশে ফিরছেন পর্যটকরা; পরতে হচ্ছে ভোগান্তিতে। অবশ্য, তাদের সরানোর জন্য সীমিত পরিসরে চালু রয়েছে ফ্লাইট। ট্যুরিজম বোর্ডের দাবি, এরজন্য মানতে হচ্ছে সুর্নিদ্দিষ্ট বিধিমালা।

নেপাল টুরিজম বোর্ডের সিইও ধনঞ্জয়া রেগমি বলেন, আমরা সরকারী নীতি মেনে চলছি। প্রথমেই আমরা দেখছি তারা গেলো ১৪ দিন নেপালে ছিলো কিনা। কেবল মাত্র তারাই এখন যাবার সুযোগ পাবে যারা ১৪ দিন এখানে ছিলো। নুন্যতম এতোটুকু সবাইকে মেনেই যেতে হচ্ছে। একই সাথে আমরা তাদের শরীরের তাপমাত্রাও মেপে দেখছি, ঠিক আছে কি নেই।

মঙ্গলবার, যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমান নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যায়। তবুও রয়ে যাবেন অনেকে। বুধবার, অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের ফেরাতে পাঠাচ্ছে বিশেষ ফ্লাইট। এর আগে শুক্রবার জার্মানির ৩০৭ পর্যটককে নিতে আসে একটি চার্টার্ড বিমান।

নেপালে এখন পর্যন্ত ৫ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি। যাদের সবাই সুস্থ হওয়ার পথে।

Share.
Exit mobile version