রাঙা প্রভাত ডেস্ক:- বাগেরহাটে খানজাহান আলী দিঘী‘র ঘাটে সিড়িতে গোসলের সময় কুমিরের হামলার শিকার থেকে বেঁচে ফিরল কে আলী দরগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র রাকিব। আহত রাকিব বাগেরহাটের খানজাহান আলী মাজার সংলগ্ন রনবিজয়পুর গ্রামের জাকির ছেলে।
সোমবার (১৬ মার্চ) মাজারের ঘাটে গোসল করতে নামলে একটি কুমিরের অতর্কিত আক্রমণে আহত হয় রাকিব। পরে তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে বাগেরেহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
রাকিব বলে, সোমবার দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে খানজাহান আলী দিঘী‘র ঘাটে সিড়িতে গোসল করছিলাম। হাত-পা ও শরীরে পানি দিচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি কুমির এসে আমার ডান পা কামড়ে ধরে গভীর পানিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে। আমি জীবন বাঁচাতে কুমিরের চোখ, নাখসহ মাথায় এলোপাথারি ঘুষি মারতে শুরু করি। এক পর্যায়ে কুমিরটি আমার পা ছেড়ে দেয়। আমি দৌড়ে উপরে উঠে আসি। বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসাধীন কুমিরের কামড়ে আহত ১৫ বছর বয়সী কিশোর শেখ রাকিব এসব কথা বলছিলেন।
রাকিবের বোন জাকিয়া বলেন, দুপুরে প্রতিদিনের মত বন্ধুদের সাথে মাজারে গোসল করতে যায় রাকিব। সেখানে কুমিরে আক্রমন করে ওকে। আল্লাহ-ই আমার ভাইকে বাঁচিয়েছে।
রাকিবের বন্ধু তাহছিন ফকির বলেন, গোসল করতে নামলে রাকিবকে কুমিরটি আক্রমণ করে। অনেক ধস্তাধস্তির পরে সে উপরে উঠে আসে। এসময় অনেক লোক জড় হয়। পরে আমরা রাকিবকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তাহছিন আরও বলেন, এখন কুমিরের ডিম পাড়ার সময়। আর ডিম পাড়ার সময় কুমির একটু হিংস্র হয়ে যায়। তাই হয়তো কুমিরটি রাকিবকে আক্রমণ করেছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারহান আতিক বলেন, দুপুরে কুমিরের আক্রমণে আহত এক কিশোর হাসপাতালে আসেন। কুমিরের কামড়ের তার পাশের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হয়ে গেছে। আমরা তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দিয়েছি। কিশোর রাকিব এখন সংঙ্কামুক্ত আছেন।