বরিশাল অফিস :- জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী ১৮৪ বস্তা চাল উদ্ধারের পর চরম হতাশা বিরাজ করছে জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের প্রায় ৭০ জন জেলে পরিবারের মাঝে। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে তারা জরুরি ভিত্তিতে তাদের প্রতিজনের জন্য বরাদ্দকৃত ৮০ কেজি করে চাল পেতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শুক্রবার দুপুরে তালিকাভূক্ত জেলে কবির হোসেন, নান্নু মিয়া, ইউনুস মোল্লা, জাকির সরদার, হাসেম বেপারী, ইসমাইল সরদারসহ একাধিক জেলেরা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জানান, ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৪ ও ৫নং ওয়ার্ড থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত তাদের কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন। ফলে সুবিধাভোগীদের সুবিধার্থে জেলেদের জন্য সরকারীভাবে চাল বরাদ্দের পর থেকে অতীতের চেয়ারম্যানরাও স্টীমারঘাট বাজারে গোডাউন ভাড়া করে সেখানে চাল রেখে উল্লেখিত ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী ২৯৯জন জেলের মধ্যে বিতরণ করে আসছিলো। ফলে তাদের (জেলে) কস্ট অনেকটা লাঘব হতো।
জেলেরা আরও জানান, অতীতের চেয়ারম্যানদের ধারাবাহিকতায় বর্তমান চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারীও ওই গোডাউনে চাল রেখে তাদের (সুবিধাভোগী) মধ্যে চাল বিতরণ করে আসছিলো। ইতোমধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অধিকাংশ সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। বাকি থাকা ৭০জন জেলেদের মধ্যে বিতরণের জন্য রাখা চাল বুধবার রাতে র্যাব-৮ এর সদস্যরা স্টিমারঘাট এলাকায় গোডাউন থেকে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উদ্ধার করা ১৮৪ বস্তা চাল থানায় নেয়ার পর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুরে আলম বেপারী মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, সুবিধাভোগী জেলেদের কস্ট লাঘব করতে অতীতের চেয়ারম্যানদের ন্যায় আমিও স্টীমারঘাট বাজারের গোডাউনে চাল রেখে বিতরণ করেছি। এখানে চাল আত্মসাতের কোন বিষয় নেই। যা সঠিকভাবে তদন্ত করলে সুবিধাভোগীদের বক্তব্যেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তিনি আরও বলেন, আমার প্রতিপক্ষের লোকজনে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার জনপ্রিয়তায় ঈশ্বান্মিত হয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমি এ ঘটনায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তদন্ত করার জন্য জোর দাবি করছি।