রাঙা প্রভাত ডেস্ক :- বারবার করোনাভাইরাসের পরীক্ষার কিট হস্থান্তরের তারিখ পরিবর্তন করছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এতে তাদের ফর্মুলায় ত্রুটি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির দাবি কাঁচামাল সংকট ও যান্ত্রিক গোলযোগে কিট উৎপাদনে দেরি হচ্ছে। কিট হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। তখন হঠাৎ করেই স্বস্থির খবর দেয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১৭ মার্চ প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, করোনাভাইরাস পরীক্ষার সহজ ও স্বল্পমূল্যের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে তারা। এর নাম র‌্যাপিড ডট বøট।

কাঁচামাল সংকটের কথা বলে দুই দফা কিট হস্থান্তর করতে ব্যর্থ হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তৃতীয় দফার ডেটলাইন ছিল ১১ এপ্রিল। এবার পরীক্ষাগারে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে কিট তৈরি করতে পারেনি বলে জানায় তারা। নতুন করে আবারো ২৪ এপ্রিল কিট হস্থান্তরের তারিখ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ২৪ এপ্রিল (শুক্রবার) কিট হস্তান্তর করা হবে। প্রথমে ১০ হাজার ও পরে এক লাখ কিট দেয়া হবে সরকারকে। তবে পরীক্ষার জন্য দেয় হবে এক হাজার।

তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো বলেন, কিট অনুমোদনের জন্য আমাদের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে আবেদন আসে নাই। উনারা যদি শর্ত পূরণ করে তাহলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদন দেবে। যদি শর্ত পূরণ না করে তাহলে কীভাবে অনুমোদন দেব?

অনেক দেশই করোনাভাইরাসের পরীক্ষার র‌্যাপিড কিট তৈরি করেছে। কিন্তু সেটি ব্যবহারে অনুমতি দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ে এই র‌্যাপিড কিট ব্যবহারের পক্ষে অনেক বিশেষজ্ঞ। এছাড়া ভালো ফল পেয়েছে হংকং, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশ।

Share.
Exit mobile version