রাঙা প্রভাত ডেস্ক :- নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ধানকাটা শ্রমিক সংকটে যখন দিশেহারা কৃষক তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা।

হাওরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলায় স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিচ্ছেন তারা। দুঃসময়ে ছাত্রলীগ ও পুলিশসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ কৃষকের পাশে দাঁড়ানোই এই সংকট দূর হয়েছে অনেকটা। আর এমন মানবতার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ প্রশংসাও করেছেন বিশিষ্টজনরা।

শ্রমিক সংকটে কৃষকের ফসল নষ্ট হবে না খেতে। প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর ধান কাটতে বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিক পাঠানো হচ্ছে হাওরাঞ্চলে। আর ফসল কাটা-মাড়াইয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠে নেমেছে ছাত্রলীগে কেন্দ্রীয় নেতারাও।

শুধু হাওরাঞ্চলে নয় দেশের বিভিন্ন জেলায় ধান ঘরে তুলতে নেতা-কর্মীরা কাজ করছেন কৃষকের সঙ্গে। স্বেচ্ছাশ্রমে ধানকাটা, বহন করে বাড়ি নেয়া ও মাড়াই করে কৃষকের ঘরে তুলে দেয়া পর্যন্ত সহযোগিতা করছেন তারা।

করোনাভাইরাসের দুর্যোগে শ্রমিক সংকটে ধান কাটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন কিশোরগঞ্জের কৃষকরাও। এখন কেটে গেছে সেই শঙ্কাও। কারণ কৃষকের ধান সময়মতো ঘরে তুলতে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।

বাগেরহাট, গাজীপুর, শেরপুর ও গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের পাশাপাশি ধান কাটছেন পুলিশ সদস্যরাও। শ্রমিক সংকটের এ সময়ে তাদের পাশে পেয়ে খুবি খুশি কৃষকরাও। ময়মনসিংহে গত ৭ দিন ধরে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন মহানগর ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগের নেতা-কর্মীরা।

Share.
Exit mobile version