★ জনগণের সমর্থন ও তৃণমূলের আস্থায় এগিয়ে ভোটের প্রস্তুতি।
নড়াইল প্রতিনিধি।। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল–১ আসনে (নড়াইল সদর উপজেলার একাংশ ও কালিয়া) বিএনপি ও জিয়া পরিষদ নেতা অধ্যাপক (অব.) বি.এম. নাগিব হোসেন দলীয় নমিনেশন পুনর্বিবেচনার আশা করছেন। আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচনে তিনি বিএনপি প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী ছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে অধ্যাপক (অব.) বি.এম. নাগিব হোসেন কালিয়া উপজেলা সদরসহ নড়াইল–১ আসনের বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছেন। তিনি জনগণের কাছে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য গণসংযোগ চালিয়ে, ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইছেন।
সম্প্রতি বিএনপির হাইকমান্ড ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় তার নাম না থাকায় হতাশা না জানিয়ে তিনি আশাবাদী। অধ্যাপক নাগিবের বড়ভাই প্রয়াত বি.এম. বাকির হোসেনের জনপ্রিয়তা এবং নিজের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দক্ষতা তাকে তৃণমূলের সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জনে সহায়তা করেছে।
তিনি বলেন,
“আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই, শুধুমাত্র এমপি হওয়ার জন্য নয়। আমি চাই জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে। আমার শিক্ষকতা জীবনে এবং অবসরের পরও সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ভবিষ্যতেও তাদের পাশে থাকার জন্য আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
অধ্যাপক নাগিব হোসেন উল্লেখ করেন,“নড়াইল–১ আসনে স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রার্থী হয়নি, যিনি সার্বিক উন্নয়নের স্বাক্ষর রাখতে পেরেছেন। আমি আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এলাকার মানুষের জন্য কার্যকরভাবে কাজ করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করতে চাই। গণসংযোগে গিয়েই দেখেছি, নতুন মুখ হিসেবে সর্বস্তরের মানুষ আমাকে স্বাগত জানিয়েছে। দলীয় মনোনয়ন যদি পুনর্বিবেচিত না হয়, আমি তৃণমূলের ভোটার ও জনগণের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করব।”
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি গ্রামের কৃতি সন্তান অধ্যাপক (অব.) বি.এম. নাগিব হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স) ও এমএ পাশ করার পর ১৯৮৬ সালে বিসিএস (৮ম ব্যাচ) সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক হিসেবে সরকারি কলেজে যোগ দেন। পরবর্তীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে সক্রিয় সদস্য হিসেবে যুক্ত হন এবং এরশাদ হঠাও আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সততা, পরিচ্ছন্নতা ও ভদ্র চরিত্রের জন্য অধ্যাপক (অব.) নাগিব হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।
নড়াইল–১ আসনে বিএনপির হাইকমান্ড ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মাওলানা আব্দুল আজিজ, জাতীয় পার্টি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী মোঃ মিল্টন মোল্লা ও এডভোকেট গাজী মাহবুব ইমরান।