কুয়াকাটা সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। দিনভর ভারী বর্ষণে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার মালিকসহ ৩ জেলে নিখোঁজ হয়েছে। গতকাল বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় অন্য ট্রলারের জেলেরা এগিয়ে আসলেও ঢেউয়ের ঝাপটায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি তারা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে ভোলা কোষ্টগার্ড ঘটনাস্থলে যাবে।
তবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাগরে কীভাবে মাছ ধরতে গেল এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই কর্মকর্তা জানান, কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাড়ির মাধ্যমে জানতে পেরেছি তারা মাছ ধরার উদ্দেশ্যে নয় বরং অবরোধ শেষ হলে সাগরের ওই এলাকায় যাতে মাছ ধরতে পারে সেজন্য খুটা ফেলে সীমানা নির্ধারণ করতে যায়। কিন্তু প্রচণ্ড ঢেউয়ের ফলে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে ট্রলার মালিক ও নিখোঁজ আমির মাঝির শ্যালক মোঃ হানিফ মিয়া জানান, আষাঢ়ের বৃষ্টিতে কুয়াকাটা উপকূল থেকে প্রায় ১০/১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ সাগরে ইলিশের আনাগোনা বেশি থাকে। তাই কিছু বেশি মাছ পাওয়ার আশায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই সাগরের চরবিজয় নামক স্থানে মাছ ধরতে গিয়েছে তার ভগ্নিপতি আমির মাঝিসহ আরও তিন জন।
তিনি জানান, খুটা জালের নৌকা (ছোট ইঞ্জিনচালিত ট্রলার) নিয়ে দুপুরের দিকে রওনা হয় আমির। কিন্তু বিকেলে সাগর উত্তাল হওয়ায় ঢেউয়ের ঝাপটায় ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে ওই ট্রলারটি সাগরে ভাসতে দেখে অন্য ট্রলারের জেলেরা আমিরের পরিবারকে খবর দেয়। তাদের সাহায্যে অন্য ট্রলার এগিয়ে আসার চেষ্টা করলেও উত্তাল সাগরে তাদের কাছাকাছি গিয়ে উপকুলে ফিরে আসে তারা।
হানিফ আরও জানায়, যেহেতু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করতে গেছে সেহেতু বিষয়টি তারা স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেনি। তারপরেও অনেকে ফোন দিয়ে তার কাছে খোঁজ খবর নিয়েছে বলে তিনি জানান।
নিখোঁজ জেলেসহ ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারে কোষ্টগার্ড দক্ষিণজোন ভোলা স্টেশনের সাথে যোগাযোগ হয়েছে বলে জানান কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। তিনি জানান, ঘটনা শুনে মৌডুবি থেকে দুটি ট্রলার ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। কিন্তু সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি।