বাবু অরুন কুমার দাস খোকন। জন্ম ১২ ই ফেব্রুয়ারী ১৯৪৮। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন বরিশাল বি এম স্কুল থেকে। স্কুল জীবনেই ছাত্রলীগে হাতেখড়ি। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন পদে দ্বায়িত্ব পালন করছেন তিনি। দীর্ঘদিন কলসকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে সফলতার সহিত দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। তার সময়েই কলসকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সর্বাপেক্ষা সংগঠিত ছিলো। তিনি নিজ হাতে তৈরি করেছেন অসংখ্য কর্মী।
তিনি ছিলেন একজন ১০০% পরিচ্ছন্ন আওয়ামী লীগার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারনকারি ব্যাক্তি। আওয়ামী লীগের চরম দুর্দিনে কলসকাঠী ইউনিয়নে হাতেগোনা যে কয়জন ব্যাক্তি নানা নির্যাতন, জুলুম ও মামলা, হামলার স্বীকার হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দীর্ঘদিনের কলসকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এই সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক শ্রদ্ধেয় খোকন কাকা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারনকারি এই বঙ্গবন্ধু প্রেমী মানুষটি আওয়ামী লীগকে সারাটি জীবন তার সাধ্যমত দিয়েই গেছেন। বিনিময় চাইতে দেখিনি কোনোদিন। আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক মাননীয় (মন্ত্রী) আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ মহোদয়ের শ্নেহধন্য এই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন অতান্ত বিনয়ী ও পরোপকারী একজন মানুষ। তিনি সবসময়ই সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন মানুষের পাসে দারানোর।
তিনি কলসকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ এর দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অশংগ্রহন তার জীবনের অন্যতম অর্জন। স্থানীয়ভাবে দল মত নির্বিশেষে সকলের অভিভাবক তুল্য ছিলেন এই গুনিজন। কলসকাঠীতে তার হাতে গড়া কর্মির সংখ্যা অগনিত।
তবে তার জীবনের অন্যতম অর্জন তার উচ্চশিক্ষিত সন্তানেরা। যাদের একজন ব্যাংকার, একজন স্কুল শিক্ষক ও অন্যজন সরকারি চাকুরে। তার গর্বিত সন্তানেরাও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে বাবার দেখানো পথেই হাটছেন। উল্লেখ্য এই বরেন্য ব্যাক্তির সহধর্মীনিও একজন অদর্শ স্কুল শিক্ষিকা
এ বিষয়ে আলাপকালে তার বড় সন্তান (ব্যাংকার) অলোক কুমার দাস বলেন, ছাত্ররাজনীতি থেকেই আলহাজ্ব আমির হোসেন আমুর সান্নিধ্য পেয়েছেন বাবা। আমৃত্যু তিনি আওয়ামীলীগ ও জননেতা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এর কর্মি হিসেবে পরিচয় দিতে সাচ্ছন্দ বোধ করতেন। দক্ষিন বাংলার রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসনাত আব্দুলাহ অরুন কুমার দাস খোকন (বাবা) কে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। ভালোবাসা ও সব প্রয়োজনে পাশে থেকে আমাদের পরিবারটিকে সর্বদা আগলে রেখেছেন হাসনাত কাকা। ১৯৯০/৯১, ১৯৯৬/২০০১ এর মত কঠিন সময় সহ সর্বদাই আমাদের পরিবারের খোজ খবর নিয়েছেন অভিভাবক তুল্য হাসানাত কাকা।
এ বিষয়ে আলাপকালে বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আবু সালেহ মোঃ বশির তার স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বলেন, খোকন কাকা ছিলেন আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তার হাত ধরেই আমার ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখরি। কলসকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে তার অবদান অপরিসীম।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন লালনকারী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী এই গুনিজন ২০১৯ সালের ১১ ই নভেম্বর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। একজন আজন্ম আওয়ামী লীগ মহান এই মুক্তিযোদ্ধার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
লেখক, কামরুল হাসান সোহাগ।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক, সম্ভাবনার কলসকাঠী।