শাহজাহান সরকার, ভ্রাম্যমাণ জেলা প্রতিনিধি, পাবনা:- পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ‘বালিশ কেলেঙ্কারির কাণ্ডে’ ঘটনায় শফিকুল ইসলামসহ ১৩ জনকে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে নির্মাণাধীন ভবনের জন্য আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা সংক্রান্ত দুর্নীতির তিন মামলায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পাবনা জোনের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলামকে জামিন দেয়নি হাই কোর্ট।
তার তিনটি জামিন আবেদনের শুনানিতে আদালত নিয়মিত খোলা পর্যন্ত মুলতবি রেখেছে বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ।
রোববার ০৫ জুলাই আদালতে আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোঃখুরশীদ আলম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
খুরশীদ আলম বলেন, প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলামকে জামিন না দিয়ে আদালত তার তিনটি জামিন আবেদনই নিয়মিত কোর্ট খোলা পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন।
দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্পের আসবাবসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগ ওঠে।
সেখানে একটি বালিশের পেছনে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা ব্যয় দেখানোর খবর গণমাধ্যমে আসায় এটা ‘বালিশ কাণ্ড’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
সেই বালিশ কেলেঙ্কারির ঘটনায় চার মামলায় রূপপুর প্রকল্পের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদুল আলমসহ ১৩ জনকে গত বছর ১২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে দুদক কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
সেখান থেকে পরে আদালতে নেয়। আদালত আসামিদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
এরপর থেকে কারাগারেই আছেন শফিকুল ইসলাম।