নখকুনি খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা। নখ কাটতে গিয়ে বা কাঁদাপানির মাধ্যমে বা কোনো না কোনোভাবে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষতস্থানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে নখকুনি সৃষ্টি হয়।
হাতে বা পায়ের নখে এই সমস্যা হলে বেশ কয়েক দিন হাঁটাচলা বা কাজ করতে বেশ অসুবিধা হয়।
তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আসুন জেনে নেয়া যাক কুনি নখের ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে:
১. সাদা ভিনেগার:
২ কাপ উষ্ণ গরম পানিতে ১ কাপ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এই ভিনেগার মেশানো পানিতে মিনিট পনেরো আক্রান্ত আঙুলটি ডুবিয়ে রাখুন। তারপর শুকনো করে মুছে নিন। দুই-এক দিনের মধ্যেই সেরে যাবে নখকুনি।
২. টি ট্রি অয়েল:
১ চামচ নারকেল তেলে ২/৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এই তেল তুলো দিয়ে নখকুনি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট দশেক রেখে দিন। দিনের মধ্যে দুই-তিন বার এমনটা করতে পারলে দ্রুত সেরে যাবে নখ।
৩. রসুন:
১ কাপ সাদা ভিনেগারের সঙ্গে কয়েক কোয়া রসুন কুচিয়ে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে পরিষ্কার কাপড় বা ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখুন। যত দিন না সারছে, তত দিন এই পদ্ধতি মেনে চলুন। উপকার পাবেন।
৪. অ্যাপল সাইডার ভিনেগার:
২ কাপ পানির সঙ্গে ২ কাপ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে ওই মিশ্রণে ৩০ মিনিট নখকুনি আক্রান্ত আঙুলটি ডুবিয়ে রাখুন। তারপর শুকনো করে মুছে নিন। দুই-তিন দিনের মধ্যেই সেরে যাবে।
৫. পাতিলেবুর রস:
নখে আক্রান্ত অংশের জায়গায় দুই-এক ফোঁটা পাতিলেবুর রস লাগান। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। যত দিন না সারছে, তত দিন এই পদ্ধতি মেনে চলুন। উপকার পাবেন।
তথ্য সংগ্রহ ঃশাহজাহান সরকার, ভ্রাম্যমাণ জেলা প্রতিনিধি, পাবনা।
Share.
Exit mobile version