করোনাকালের ঈদুল আজহা হোক শুধুই ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত

শু প্রবৃত্তির কুরবানি করে মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তোলার বার্তা নিয়ে ধর্মপ্রান মুসলমানদের দরজায় কড়া নারছে পবিত্র ঈদুল আজহা! মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা কার্যত ত্যাগের শিক্ষা দেয়। মুলত ঈদুল আজহার তাৎপর্য নিহিত হয় ত্যাগের মাধ্যমেই।

ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত ঈদুল আজহা আমাদের মানবিক চেতনা জাগ্রত করে পৃথিবীর সকলের মঙ্গল সাধনে নিজেকে নিয়োজিত করার শিক্ষা দেয়। কেবল মুসলিম জাতি নয় সমগ্র বিশ্ববাসির কাছে পবিত্র এই ধর্মীয় উৎসবের রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য। 

ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির মাধ্যমে মহান আল্লাহর আদেশ পরিপালন করাই হবে আমাদের মূল কর্তব্য। পাশাপাশি দ্বায়িত্ব হবে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়া। মানুষের কল্যান সাধন করা, সামাজিক শৃঙ্খলা পরিপালন ও আত্মীয়তার বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করা। কাজিই আমরা যেন কেবল লোক দেখানো ও প্রতিযোগিতামুলক রক্তপাত এবং গোশত খেয়ে মহান ঈদুল আজহার তাৎপর্য বিনষ্ট না করি। করোনাকালের আসছে ঈদুল আজহা আমাদের জন্য বিশেষ বার্তা বহন করে নিয়ে এসেছে।
তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতির সময়ে এই ঈদুল আজহায় আমাদের আরো বেশি মানবিক ও সহানুভূতিশীল হতে হবে। সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে আমাদের চারপাশের অসহায় মানুষদের প্রতি। এগিয়ে আসতে হবে তাদের দুর্দশা লাঘবে।
ঈদুল আজহা আমাদের কাছে আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের এক মহান বার্তা নিয়ে বরাবরই হাজির হয়।
ঈদুল আজহার পশু কোরবানির মাধ্যমে মুলত আমাদের মধ্যে বিরাজমান পশুশক্তি, কাম, ক্রোধ, লোভ, পরনিন্দা ইত্যাদি রিপুকে কোরবানি দিতে হবে। হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি ও রাগ অভিমান ভুলে এক কাতারে ঈদুল আজহার আনন্দে শামিল হয়ে আমরা একে অপরের মধ্যে সহমর্মিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসবো।
লেখক-  কামরুল হাসান সোহাগ 
প্রধান পৃষ্ঠপোষক, সম্ভাবনার কলসকাঠী। 
বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক রাঙা প্রভাত। 
Share.
Exit mobile version