অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় বরমচাল ইউনিয়নের পশ্চিম সিঙ্গুর গ্রিজিং এলাকার বাসিন্দা ছমির আলীর ছেলে ফখরুল আলী সিঙ্গুর পুঞ্জির বাসিন্দা খাসিয়া সম্প্রদায় জেসপাল পতামের পান জুম থেকে ২৫০টি সুপারি গাছের চারা চুরি করে। এসময় জেসপাল পতামসহ খাসিয়া লোকজন তাকে হাতেনাতে ধরে খাসিয়া পুঞ্জিতে নিয়ে আসেন। সিঙ্গুর খাসিয়া পুঞ্জি ও ফখরুল আলী এলাকার লোকজনদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য একটি সালিশি বৈঠক হয়। বৈঠকে ভবিষ্যতে এ ধরণের চুরির কাজ না করার শর্তে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়।।
স্থানীয় বাসিন্দা রুহেল মিয়া, জাহেদ আলী, নানু মিয়া, ইসলাম উদ্দিন ও ফজল মিয়াসহ তার পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফখরুল আলী ক্ষোভে খাসিয়া পুঞ্জির বাসিন্দাদের হুমকি প্রদান করেন। তিনি বলে তোমরা আমার কিছু করতে পারবে না, তোমাদের পুঞ্জিতে ক্ষতিসাধন করবো যে কোন সময় । পুঞ্জির লোকজন ফখরুলের ভয়ে পানের জুম রক্ষায় রাত ২টা পর্যন্ত পাহারা দেন। একপর্যায়ে তারা পুঞ্জিতে ফিরে গেলে রাতের আধারে এলাকার চিহ্নিত চোর ফখরুল আলী লোকজনদের নিয়ে পুঞ্জির বাসিন্দা ডালিম খংষ্টিয়ার পানের জুম থেকে প্রায় ২৫০-৩৫০, লিপটন মারাকের পানের জুম থেকে ২০০-২৫০ পান, আগর, সুপারি গাছ, স্থানীয় বাঙ্গালী তৈয়ব মিয়ার পানের জুম থেকে প্রায় ২০০ পান গাছ কর্তন করে।
৫আগস্ট বিকেলে খাসিয়া পুঞ্জির মান্ত্রী (পুঞ্জি প্রধান ) বিনেত মানার বলেন, আমাদের পুঞ্জিতে ৬০টি খাসিয়া পরিবারের বসবাস করছে । সবাই পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। চিহ্নিত চোর ফখরুলসহ তার সহযোগীরা মিলে আমাদের পুঞ্জিতে পান গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তনের তান্ডব চালায়। এতে আমাদের প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। প্রায় সময় আমাদের পানের জুমে পান গাছ বিনষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠে স্থানীয় একটি বিশেষ মহল। আমরা এ থেকে পরিত্রাণ চাই, ন্যায় বিচার চাই। এ বিষয়ে পুঞ্জির বাসিন্দা ডালিম খংষ্টিয়া বাদী হয়ে জড়িত দুইজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
কুলাউড়া থানার এস আই রফিকুল ইসলাম বলেন, সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানের জুম থেকে পান গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। এখন তদন্তক্রমে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।