এস এম শামীম, অতিথি প্রতিবেদক :- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য, বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক সফল চীফহুইপ, বরিশাল-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র নির্দেশে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মহামারি করোনা ভাইরাসকালে অগ্রণী ভূমিকায় আওয়ামীলীগের জেলা কমিটির সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সুনীল কুমার বাড়ৈ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক, কর্মে যিনি অবিচল, মানবিকতা যার নিত্যসঙ্গী, সততা, নিষ্ঠা, আর্দশ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ আবু সালেহ মোঃ লিটন সেরনিয়াবাত। এই মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে পুরো জাতি আজ স্তব্ধ।

এই করোনা ভাইরাসের কারনে মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে পরেছে তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা ও মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি’র নির্দেশে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় মহামারি করোনা ভাইরাসকালে অগ্রণী ভূমিকায় আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দিয়ে জনগনের পাশে রয়েছে এই তিন নেতা। এই তিন নেতার নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ও সরকার দলীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ উপজেলার সর্বস্তরের জনগনের পাশে থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন আওয়ামীলীগ হবে গন মানুষের দল। যে দল বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা তথা সকল ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং সমাজতন্ত্র বা শোষণমুক্ত সমাজ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে আওয়ামীলীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মতান্ত্রিক পথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে মানুষের অধিকার আদায় করেছে দলটি। স্বাধীন বাংলাদেশে যত দুর্যোগ, দুঃসময় এসেছে, সব বুক চিতিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। করোনার এই ক্রান্তিকালে বিশ্বের বড় বড় নেতারা যখন সমালোচিত হচ্ছেন, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস ম্যাগাজিনসহ বিশ্ব মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করা হচ্ছে। শুধু বন্যা ও করোনাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে কোন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।

উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ বলেন, ১৯৮১ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে শেখ হাসিনা। ৩৯ বছর যাবৎ তিনি দায়িত্ব পালন করে চলেছেন নিজের নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন নেত্রী হিসেবে। আর এ জন্যই মুজিববর্ষের শুরু থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীকে গ্রামে গিয়ে কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তোলা এবং লকডাউনের মধ্যে গরীব মানুষকে ত্রান বিতরণে নিবেদিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তার নিরন্তর তদারকির কারনে করোনা ভাইরাসের দুর্যোগের সময় আওয়ামীলীগ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন থেকে শুরু করে কৃষক-শ্রমিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, হাসপাতালের কর্মচারী ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে আর্থিক সহয়তা প্রদান করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি। সংকট মোকাবেলার জন্য প্রতিনিয়ত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন যাতে লকডাউনের কারনে কর্মহীণ হয়ে পড়া মানুষগুলো যেন খাবার সংকটে না পড়ে। সে জন্য কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা কর্মীদের একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি। মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ত্রান কমিটি ওয়ার্ড পর্যায়ে দল-মত নির্বিশেষে প্রকৃত দরিদ্র, দুস্থ ও অসহায় মানুষের তালিকা প্রস্তুত করে এবং ওই তালিকা স্থাণীয় প্রশাসনকে প্রদান করে সঠিক তালিকা প্রণয়নে সহয়তা ও সমন্বয় করেছে। একইসঙ্গে এই কমিটি মানুষের মানবিক সংকটে সার্বিক সহযোগিতা এবং ত্রান বিতরণ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে ঘরে ত্রান পৌছে দিতে সহযোগিতা করেছে।

মহামারী করোনার মাঝেও ঝুঁকি নিয়ে পুরোদমে মানবসেবার কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু সালেহ মোঃ লিটন সেরনিয়াবাত। তিনি বলেন, এই করোনা মহামারির মধ্যেও আওয়ামীলীগের রাজনীতিবিদরা স্ব-উদ্যোগেই এলাকায় গেছেন এবং জনগনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যে যেভাবে পেরেছেন ত্রান সহয়তা করেছেন, অন্যান্য সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে থেকেছেন। এর ফলে আওয়ামীলীগে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। করোনা সংকটের সময় আওয়ামীলীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা জনগনের পাশে আছে এবং জনগনের জন্য কাজ করছে। তবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। এ জন্য মনোবল শক্ত রেখে করোনা সংকটে দেশের সবাইকে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র দূরদর্শী নেতৃত্বে সংকট জয় করার প্রত্যাশা রয়েছে তাদের। প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সমগ্র জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এখনকার মতো সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেই আমরা যে কোন আপৎকালীন অবস্থা থেকে নিজেদের উত্তরণ ঘটাব এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব’। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের অক্লান্ত শ্রমই বাংলাদেশকে করোনা ভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবেলায় সাহস যুগিয়েছে।

এ উপজেলায় ভিজিডি, ভিজিএফ, ১০ টাকায় খাদ্যসহায়তা এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে এককালীন ২ হাজার ৫শত টাকা করে অসহায়, দুস্থ ও কর্মহীনদের মাঝে নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের কারনে এ উপজেলায় কর্মহীন দরিদ্র ২৩ হাজার ১শত পরিবারের মাঝে সরকারী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। যারা এই করোনা ভাইরাসের সময় বাহিরে গিয়ে কাজ করতে পারছে না তাদের মাঝে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৯-২০অর্থ বছরে সরকারী বরাদ্দের চাল ও নগদ টাকা বিতরণ শেষ করা হয়েছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে ১০ কেজি চাল, ৩কেজি আলু, ২কেজি ডাল ও একটি সাবান বিতরণ করা হয়। করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন দরিদ্রদের জন্য সরকার থেকে ২০১৯-২০অর্থবছরে ২৩১ মেট্রিক টন চাল ও ১০লক্ষ ৫৩হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বরাদ্দকৃত চাল থেকে প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, আলু, ডাল ও সাবান বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক আবু সালেহ মোঃ লিটন সেরনিয়াবাত বলেন, সরকারী চালের সাথে স্থানীয় এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র নিজস্ব তহবিল থেকে আলু, ডাল ও সাবান ক্রয় করে দরিদ্র লোকজনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও সরকার থেকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের দরিদ্র মহিলাদের বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ভাতার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা সমাজ সেবা অফিস থেকে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ৮হাজার ৬শত ১জনের মাঝে এই ভাতা বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৪৫টি ওয়ার্ডের ৫হাজার ৮৭জন দরিদ্র মহিলাদের ৫শত টাকা করে ২৫লক্ষ ৪৩হাজার ৫শত টাকার বয়স্ক ভাতা, ১হাজার ৭শত ৭৭জনকে ৮লক্ষ ৮৮হাজার ৫শত টাকার বিধবা ভাতা ও ১হাজার ৭শত ৩৭জনকে ১৩লক্ষ ২হাজার ৭শত ৫০টাকা প্রতিবন্ধী ভাতাসহ মোট ৪৭লক্ষ ৩৪হাজার ৭শত ৫০টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমনের কারণে কর্মহীন অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারদের মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৪হাজার ৪শত ৭৫ জন পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে গৈলা ইউনিয়নে ১হাজার ২শত জন, রাজিহার ইউনিয়নে ৮শত ৮৭জন, বাগধা ইউনিয়নে ৮শত ৪২জন, বাকাল ইউনিয়নে ৭শত ২৩জন ও রতœপুর ইউনিয়নে ৮শত ২৩ জনসহ ৪হাজার ৪শত ৭৫ জন অসহায় দুঃস্থ পরিবার মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। যে কোন দুর্যোগ, দুঃসময় এসেছে, সর্বস্তরের জনগনের পাশে থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে জনগনের পাশে থাকা এই আওয়ামীলীগের দলটি।

Share.
Exit mobile version