বিশেষ প্রতিনিধিঃ শাহজাহান সরকার
শিমুলিয়া ঘাট পুলিশ জানিয়েছে, সাড়ে তিন শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি ও মালবাহী ট্রাক আছে। তবে ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। এক সপ্তাহ ধরে ঘাটে আটকে আছে, এমন অনেক ট্রাকও আছে।
নৌপথে নাব্যতা সংকট দূর করতে খননযন্ত্র দিয়ে পলি অপসারণ করা হচ্ছে
পদ্মা নদীতে নাব্যতা-সংকটের কারণে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। বৃহস্পতিবার সকালে চ্যানেলের মুখে অর্ধশত যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে ফেরি আটকে যায়। পরে আটটার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয় ঘাট কর্তৃপক্ষ
শিমুলিয়া ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক মাসের বেশি সময় ধরে নাব্যতা-সংকট ও স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। এ কারণে অর্ধেকের বেশি ফেরি প্রায় বন্ধ রাখতে হতো। গত শনিবার থেকে নৌ চ্যানেলে নাব্যতা-সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। দিনের সময়টাতে কখনো তিনটি,কখনো চারটি,কখনো পাঁচটি ছোট ফেরি দিয়ে সীমিত আকারে যানবাহন পারাপার করা হয়। বৃহস্পতিবার এই সংকট তীব্র হওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ আছে।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. হিলাল রাঙা প্রভাত কে বলেন, রাতে ফেরি বন্ধ থাকার পর সকাল পৌনে ছয়টার দিকে এ ঘাট থেকে কলমিলতা কাকলী নামে একটি ফেরি ছেড়ে যায়। মাদারীপুর ঘাট থেকেও অর্ধশত যাত্রী ও ২০টি যানবাহন নিয়ে কিশোরী নামের একটি ফেরি আসছিল। নাব্যতা সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় নৌপথের লৌহজং চ্যানেল মুখে সেটি আটকা পড়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘাটে সাড়ে তিন শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি ও মালবাহী ট্রাক আছে। তবে ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। এক সপ্তাহ ধরে ঘাটে আটকে আছে, এমন অনেক ট্রাকও আছে। নতুন যেসব পরিবহন ঘাটে আসার চেষ্টা করছে, তাদের পাটুরিয়ার দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম সকালে প্রথম আলোকে বলেন, নাব্যতা সংকটের জন্য চ্যানেলে বিপর্যয় ঘটেছে। স্রোতের বেগও বেশি। তাই আপাতত এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ চ্যানেল সচল করে দিলে ফেরি চলবে। আটকে যাওয়া ফেরিটি ডুবচর থেকে ছুটেছে। সেটি মুন্সিগঞ্জের দিকে যাচ্ছে।