“জানি তুমি আসবে”
★★★মনিরুজ্জামান★★★
একদিন তৃষ্ণার্ত মরুর বুকে
তুমি আসবে,আসবে নীলাঞ্জনার
মায়া আঁচল জড়িয়ে আকাশনীলা,
ছায়াপথ ,নীহারিকা
মুক্তো ঝড়িয়ে হাসবে।
জানি, তূমি আসবে——
বসবে শ্যামল ছায়াবিথী তলে।
স্নিগ্ধ মলয়ে চুল উড়িয়ে পলে পলে,
সুগন্ধার দুকুল ছাপিয়ে উত্তাল
ধারা তোমার পা ভিজিয়ে দিবে
প্রেমের জলে।
জানি,তুমি আসবে যেদিন —
রক্ত জবার ঝোপের কাছে,
ফুল,পাখি, প্রজাপতির
গানের মেলায় কাব্য হবে,
তোমায় ঘিরে,
মাধবীলতা,জুঁই,চামেলী,হাস্নাহেনা
অবাক বিস্ময় দেখবে ফিরে—
পরীর ভীড়ে
তোমার প্রেমের কানাকানি ।
অনুভবের গভীরে হৃদয়ের সবটুক
জুড়ে বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের ঢেউ হয়ে।
তুমি আসবে এই আসায়—–
আজও বেঁচে আছি—-।
না বলা কথাগুলো কান্না হয়ে ঝড়ে পরে
দু-চোঁখের নোনা জলে।
তার পরও স্বপ্ন এসে বাসা বাঁধে
মনের গহীন কোনে তোমারই অজান্তে!!!
“শব্দের টানাটানি”
——মনিরুজ্জামান —–
কি লিখবো আজ তোমায় নিয়ে?
ভালোবাসার শব্দের যে টানাটানি।
কোন শব্দের সমাহরে সাজাবো তোমায়।
ভালোবাসা তো জীবন্ত সজীব
ভয় বাঁধা জ্বলন্ত প্রদীপ।
যখন তুমি ছিলে জীবনের থরোথরো ঠোঁটে
শব্দহীন শব্দ হয়ে…
তখন আমিও ছিলাম আরেক ঠোঁটে
শব্দহীন শব্দ।
আজ ভালোবাসার শব্দের যে, টানাটানি।
তাই শুনে পূর্ব গগনে স্বর্ন উজ্জল
লাজুক তাঁরা হারিয়েছে চিরতরে।
তুমিহীনা নিঃসঙ্গতার দিন যাপনের
যাতনায়,পদদলিত হয়েছে কত স্বপ্ন।
আহাত পাখির মত কেটে যায়,
একেকটি দিন একেকটি রাত।
তবুও ব্যাথিত বুকের ক্ষত চিহ্নে
প্রত্যাশা জাগে এই ভেবে প্রভাতে
রাজাহাঁসগুলির আলতা পরা পা,
দেখবো বলে দীঘির জলে।
আশা নিরাশার মাঝ দরিয়ায়
ভাবনার আকাশ থেকে কালো মেঘ
কাটিয়ে যখন সাদা মেঘের ভেলায় ভাসে
তখনো খুঁজি তোমায় রংধনুর
সাত রঙ্গে..
“মিছেমায়া”
———মনিরুজ্জামান——-
মিছে মায়ার সন্ধানে ছুটেছি অজানা পথে।
শেষ বিকেলের সূর্য যেমন,
সমুদ্র সঙ্গমে ব্যস্ত হয়ে ওঠে।
সেখানেও দেখি নোনা জলের ভান্ডার।
বেহিসাবি চঞ্চলা উদাসী ভাবনাগুলো
মনের জানালায় উঁকি দেয় বার বার।
আমি শুধু শুধুই মিছে মায়ায় পড়ে
রক্ত জবার লালীমা এনে এঁকে যাই
সুখের আলপনা
আমায় দেখে গোধূলি কন্যা মুচকি হেসে
হারায় মেঘের আঁধারে।
চাঁদের মত সব কলঙ্ক জড়িয়ে নিজের গায়
জোছনার মুগ্ধতায় খুঁজেফিরি তোমায়।
ভেবে ছিলাম সকালের সোনাখামা রোদ্দুর কে
সঙ্গী করে হেঁটে যাব বহুদুরে।
অবশেষে জেনেছি মিছে মায়ার সন্ধানে
যাত্রীহীন নৌকার মতই আমি ভেসেছি।
অসহায় নয়নে তাকাই যদি তীরের দেখা পাই।