আলাদা স্থানে ছয়জনকে নিপীড়নের অভিযোগ
রাঙা প্রভাতডেস্ক।। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ইউনিয়নে বোরকা পরে বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে মারধর ও ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেড় লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্ণালংকারও লুটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত ধর্ষণ ও নির্যাতনবিরোধী বিট পুলিশিং সভার বিষয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করার দিন গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীকে গুরুতর অবস্থায় রাতেই স্পিডবোটে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল সকালে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ (পমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এদিকে ঢাকার সাভারে একটি বাড়িতে বেড়াতে এলে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরো পাঁচ জেলায় শিশুসহ তিনজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণচেষ্টা ও একজনকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মাদারীপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রাঙ্গাবালীর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল দুজনকে আটক করে চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নেওয়া হয়। তাঁরা হলেন চরমোন্তাজের চরমার্গারেট এলাকার মজিবর শরিফের ছেলে দর্জি শাকিল (২০) ও চরলক্ষ্মী গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের ছেলে আল হাদি (২২)। গৃহবধূর স্বামী বলেন, তিনি বাইরে থেকে বাড়ি ফেরার সময় রাত ৯টার দিকে তাঁর মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ফোন আসে। পরে ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি দ্রুত বাড়িতে গিয়ে অন্ধকার ঘরে ছেলে-মেয়ের কান্না শুনতে পান। টর্চলাইট জ্বেলে দেখেন, তাঁর স্ত্রীর হাত টেবিলে ও নাক-মুখ-চোখ ওড়না দিয়ে বাঁধা। পরে তাঁর চিৎকারে লোকজন আসে। এর মধ্যে স্ত্রী জ্ঞান হারান।
রাঙ্গাবালী থানার ওসি মো. আলী আহম্মেদ বলেন, “গলাচিপা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, ‘একজন রোগী এসেছিলেন। রোগীর বক্তব্য অনুযায়ী তাঁকে মারধর ও ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে ধর্ষণ কি না তা বলতে পারছি না।’ ঘটনার তদন্ত চলছে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘ভিকটিমের স্বামী ঘটনায় জড়িত তিনজনের নাম বলেছেন। বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখবো।