স্পোর্ট ডেস্ক।। স্কোর বোর্ডে ১৭২ রান তুলেও ম্যাচ জিততে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হল নাইটদের। শেষ ম্যাচ রাজস্থান রয়্যালসকে হারালেও প্লে-অফে যাওয়ার জন্য অন্যদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে কিং খানের দলকে।
দুই স্পিনারের দুরন্ত বোলিংয়ে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল নাইটদের।
কিন্তু সেখান থেকে দলকে জেতাতে ব্যর্থ পেসাররা। কিন্তু ১৯ ওভারে লকি ফার্গুসন ২০ রান দিয়ে সুপার কিংসের হাতে ম্যাচ তুলে দেন। ওভারের প্রথম ডেলিভারি ওয়াইড ও পঞ্চম ড়েলিভারি নো করে নাইটদের জয়ের সম্ভাবনায় পানি ঢেলে দেন ফার্গুসন। শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে সুপার কিংসকে জেতান রবীন্দ্র জাদেজা।
রান তাড়া করতে দারুণ শুরু করে চেন্নাই। শেন ওয়াটসন ও রুতুরাজ গায়কোয়াড জুটি ৭.৩ ওভারে ৫০ রান তোলে। বরুণ চক্রবর্তীর বলে ব্যক্তিগত ১৪ রানে বোল্ড হন ওয়াটসন। কিন্তু গায়কোয়াডের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলেক এগিয়ে নিয়ে যান আম্বাতি রায়ডু।
মাত্র ৩৭ বলে ৬৮ রান যোগ করে চেন্নাইকে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসতে সাহায্য করেন রায়ডু ও গায়কোয়াড।
কিন্তু প্যাট কামিন্সের বলে রায়ডু আউট হওয়ার পর ম্যাচ ফেরার সম্ভাবনা বাড়ে নাইটদের। তবে ডাগ-আউটে ফেরার আগে ২০ বলে ৩৮ রান করেন রায়ডু। এরপর এক দুরন্ত ডেলিভারিতে সিএসকে ক্যাপ্টেন ধোনিকে বোল্ড করে নাইটদের ম্যাচে ফেরান বরুণ। এরপর গায়কোয়াডকে আউট করেন কামিন্স।
তার আগে অবশ্য ৫৩ বলে ৬টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৭৩ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন তিনি। তারপর বাকি কাজটা করেন জাদেজা ও কারান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। প্রথমে ব্যাট করতে শুরুতে করণ শর্মার শিকারে পরিণত হন কেকেআরের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান শুভমান গিল। ১৭ বলে ২৬ রানে করে শর্মার বলে বোল্ড হন তিনি।
এরপর নিতিশ রানা ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি চেন্নাইয়ের বোলারদের সামনে। নারিন ৭ রানে, রিংকু সিং ১১ রানে ফেরেন। অধিনায়ক এইউন মরগানকে ১৫ রানে ফেরান প্রোটিয়া বোলার এনগিডি। একপ্রান্ত ধরে রেখে সতীর্থদের আশা-যাওয়া দেখেন নিতিশ। ৮৭ রানে নিতিশ রানার ইনিংস থামিয়ে দেন এনগিডি। ৬১ বলে ১০ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কার মারে এই ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন নিতিশ। দলের সাবেক অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক ১০ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানে থামে কলকাতার ইনিংস।