বিশেষ প্রতিনিধি।। রাজধানীর আদাবরে একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম। পরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গতকালই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাইন্ড এইড নামে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপকসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এরই মধ্যে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার।
আনিসুল করিমের পবিবারের ভাষ্যমতে, গত কয়েক দিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। পরে বেলা ১১টার দিকে তারা মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে যখন তারা ভর্তি সংক্রান্ত কাজ করছিলেন, তখন হাসপাতালের কর্মচারীরা আনিসুলকে ওপরের তলায় নিয়ে যায়। এর মিনিট পাঁচেক পরই আনিসুল অচেতন হয়ে পড়েন। পরে দ্রুত তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। বিসিএস ৩১ ব্যাচের এই পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের অভিযোগ, মাইন্ড এইড হাসপাতালের একটি কক্ষে নিয়ে আনিসুলকে বেধড়ক ভাবে পেটান কর্মচারীরা। সে সময় হাসপাতালের ম্যানেজারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আনিসুরের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ফুটেজ দেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের ম্যানেজারসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ কর্মকর্তারা।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মিয়া বণিক বার্তাকে বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগের সাথে হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা সিসিটিভি ফুটেজের যথেষ্ট মিল রয়েছে। এটা হত্যাকাণ্ড কি না নিশ্চিত হতে হাসপাতালের ম্যানেজারসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।