উপমহাদেশের গৌরব পাবনা মানসিক হাসপাতাল
শাহজাহান সরকার,শ্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।
পাবনা শহর থেকে মাত্র তিন কিঃ মিঃদূরে হেমায়েতপুরে ১৯৫৭ সালে ১৩৩ একর জমির উপর নির্মিত হয় পাবনা মানিসক হাসপাতাল। ভারতীয় উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ এ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রচুর দর্শণার্থী হাসপাটালটি দেখতে আসেন।
এটি বাংলাদেশ এর একমাত্র সরকারি মানসিক হাসপাতাল। পাবনা মানসিক হাসপাতালে সরকার অনুমোদিত একটি জনকল্যাণ সংস্থা রয়েছে। রোগীরা সুস্থ হওয়ার পর তাদের নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর খরচ এই সংস্থা বহন করে। জীবন রক্ষাকারী ঔষধপত্রও এই সংস্থা সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও হাসপাতালে থাকা অবস্থায় সক্ষম রোগীদের চাকুরি বা কাজের ব্যবস্থাও এই সংস্থাটিই করে।
এটি প্রথম মানসিক হাসপাতাল
বাংলাদেশের প্রথম মানসিক হাসপাতালের অবস্থান পাবনায়৷ ১৯৫৭ সালে এটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল একটি বাড়িতে৷ পরে ১৯৫৯ সালে হাসপাতালটি হেমায়েতপুরে স্থানান্তর করা হয়৷ শুরুতে মানসিক হাসপাতালটি ছিল ৬০ শয্যাবিশিষ্ট৷ পরবর্তীতে তা ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়৷
মানসিক হাসপাটালে ১২ ই নভেম্বর দৈনিক রাঙা প্রভাতের শ্পেশাল করেসপন্ডেন্ট সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে বেশ ছিমছাম গোছালো পরিবেশ ভেতরে দেখতে পান । কথা হয় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভর্তিকৃত বেশ কিছু মানষিক রোগিদের সাথে তাদের সেবারমান,শোবার ও খাবার সম্পর্কে কোনো অভিযোগ নেই এতে বেশ সন্তোষই প্রকাশ করেছেন রোগীরা। মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীদের মধ্যে কেহ টাকা হারানোর শোকে কেহ সৎ পিতা মাতা,ভাই বোনদের দ্বন্দের কারনে তাদের ভর্তি এ হাসপাতালে ।
পাবনা মানসিক হাসপাটালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রতন কুমার রায় জানান বেশ সাভাবিক গতিতেই চলছে সেবার মান তবে নার্সিং ষ্টাফ তুলনামুলক চলমান থাকলেও ডাক্তারদের পদ সংখ্যার তুলনায় ডাক্তার কম থাকায় মানসিক রোগিদের সেবাদানে বড়ধরনের বাধাগ্রস্ত হতে হচ্ছে । তিনি সরকারের নিকট জোড় দাবি জানিয়ে প্রতিনিধিকে বলেন আমাদের ডাক্তার সংখ্যা বাড়লে সেবার মান আরও অনেক গুন বেড়ে যাবে।
আরও বলা হয়, হাসপাতালটিতে রোগীদের জন্য খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া রোগীদের যে কোনো পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়।
পাবনা মানসিক হাসপাতাল মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী, অসুস্থ অথবা আহতকে ঔষধ ও শল্যচিকিৎসা এবং যথাযথ সেবাশুশ্রূষা প্রদানকরে থাকেন।
দেশের সবচেয়ে বড় মানসিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ‘পাবনা মানসিক হাসপাতাল’।
এ ছাড়া রতন কুমার রায় আরও জানান সুস্থ্য হয়েও অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারেনা। অনেক রোগী আছেন দীর্ঘ দিন ধরে। স্বজনদের অবহেলা আর ভুল ঠিকানার কারণে বাড়ি ফেরা হয়না তাদের।ভর্তির সময় ভূল ঠিকানা দিয়ে অনেক রোগী এ হাসপাতালে রেখে যান পরবর্তীতে কোন অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করাও সম্ভব হয়না। আবার স্বজনদের উদাসীনতায় বাড়ি ফিরতে পারে না অনেক রোগীই।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, কোনো রোগী মারা গেলে মরদেহও নিতে চাননা অনেক স্বজনরা। এতে করে বড় সমস্যায় পরতে হয় মাঝে মধ্যেই।
কিভাবে যাওয়া যাবেন:-সড়ক পথে যে কোন স্থান হতে বাস অথবা নিজস্ব পরিবহন মারফত পাবনা বাস টার্মিনাল । বাস টার্মিনাল হতে পাবনা মানিসিক হাসপাতাল ৭ (সাত) কি:মি: দুরে অবস্থিত। বাস টার্মিনাল হতে রিক্সা/অটোরিক্সা/সিএনজি যোগে যাওয়া যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো আছে।