রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য৷ শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে৷ মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকার লোকজনকে জড়ো করে পুলিশ সদস্যদের মারধর করা হয়৷
এ ঘটনায় হামলার শিকার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. নুরুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন৷ মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত এ মামলায় চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে৷
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি পশ্চিপাড়া এলাকার গোলাম আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম (৫৫), একই এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. ওয়াসিম (২৯), গোদনাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে মো. সামসুজ্জামান (২৮), চাঁদপুর জেলা পুলিশ লাইনসের পেছনে বাবুরহাট এলাকার হুমায়ূন কবির খানের ছেলে মারুফ খান (১৮)৷ অন্য আসামিরা হলো: জালকুড়ি কড়ইতলা এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে রবিন (৩৫), জহুর আলীর ছেলে ফকির মনির (৪০), মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে মতিন (৪৫), আক্কাস (৪২), মতিনের ছেলে আশিক (২৫), বিল্লাল (৪০), মৃত চাঁন বাদশার ছেলে সেলিম (৪৫), ফজল মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (৪৫), সোহাগ৷
মামলার এজাহারে এএসআই নুরুজ্জামান বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি কড়ইতলা এলাকার আবুল হোসেন মন্টুর ছেলে বিল্লাল হোসেন ওরফে বিল্লাল ডাকাতের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে৷ আসামি বর্তমানে জালকুড়ির পশ্চিমপাড়া এলাকার আমিনুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান করছে খবর পেয়ে পরোয়ানা তামিল করতে কনস্টেবল মো. কহিনুর ও মমিনুর রহমানকে সাথে নিয়ে সেখানে যান৷ সাথে নাসির নামে স্থানীয় এক নৈশপ্রহরীও ছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়৷
এজাহারে এএসআই নুরুজ্জামান আরও বলেন, আমিনুল ইসলামের বাড়ির সামনে গিয়ে বাইরে থেকে দরজা খুলতে বলা হয়৷ দরজা না খুলে ভেতর থেকে পুলিশের উদ্দেশে অশালীন ও উদ্ধত্যপূর্ণ কথাবার্তা বলতে থাকে৷ পরে ওই বাড়ির মালিক আমিনুল ইসলাম স্থানীয় মসজিদে ফোন করে জানায় তার বাড়িতে ডাকাত পড়েছে৷ এই খবর মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হলে এজাহারনামীয় আসামিসহ আরও ৩০-৪০ জন স্থানীয় লোকজন জড়ো হয় সেখানে৷ পরে পুলিশের পোশাক ধরে টানাহেচড়া করে এবং লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারধর করা হয়৷
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে৷ এই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে৷ হামলার ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন৷
তবে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷