রাঙা প্রভাত ডেস্কঃ দেশের মাংস এবং দুধের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত নোয়াখালীর ভাসানচর। মাত্র এক দশকে ভাসানচর হয়ে উঠেছে দেশের সবচেয়ে বড় মহিষের চারণভূমি। এখানে মহিষের সংখ্যা ১২ হাজারের বেশি।
রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর নিয়ে গত দুই বছর ধরে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে নোয়াখালীর ভাসানচর। একপ্রকার লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা এই চর হয়ে উঠেছে মহিষের বিচরণ ক্ষেত্র। চরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বেড়াচ্ছে মহিষের দল। একেকটি দলে রয়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ মহিষ।
স্থানীয়রা বলেন, এখানে প্রায় ১২ হাজারের মতো মহিষ আছে। এটা এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় খামার।
সূবর্ণচরে থাকা কিছু মহিষ এক দশক আগে আবাস গড়ে এই ভাসানচরে। তারপর থেকে বাড়তে থাকে মহিষের সংখ্যা। শতাধিক বাথান মালিকের মহিষ রয়েছে ১০ হাজারের বেশি। এই চরের মহিষ বিক্রি হয় প্রতিটি এক লাখ টাকা দরে।
স্থানীয়রা আরও বলেন, প্রতি বছর আমরা প্রায় দুই-তিন হাজার মহিষ এখান থেকে বিক্রি করি। এরা নিয়মিত বাচ্চা দেয়। বড় হলে বিক্রি করে দেই। ভালোই লাভ হচ্ছে।
দুইব ছর আগে ভাসানচরে নৌবাহিনীর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে গুরুত্ব দেওয়া হয় মহিষের বিচরণ ভূমির ওপরেও। রোহিঙ্গাদের জন্য গড়ে তোলা আবাসনের পাশেই রাখা হয়েছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মহিষের থাকার জায়গা।
এ প্রসঙ্গে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কমডোর আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বর্ষাকালে এরা বাঁধের ভেতর চলে আসবে। আমাদের প্রত্যেকটি শেল্টারের নিচে প্রায় ২০০টি করে মহিষ রাখার ব্যবস্থা আছে।
এদিকে ভাসানচরের মহিষ মালিকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি আশপাশের জেলাগুলোতে দুধ এবং মাংস সরবরাহে কাজ করছে উপকূলরক্ষী কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ডের লে. কমান্ডার সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১২ হাজার গরু-মহিষ আছে এখানে। এসব থেকে প্রাপ্ত দুধ বা মাংস দেশের বিভিন্ন স্থানে আমরা সরবরাহ করে দিচ্ছি।
মহিষের বাথান হিসাবে পরিচিতি পেলেও এই ভাসানচরে বিচরণ রয়েছে কয়েক হাজার গরু এবং ছাগলেরও। মূলত চরের উর্বর ভূমি হওয়ায় এখানে পাওয়া যায় উন্নত ঘাস।