বিশেষ প্রতিনিধি। কথায় বলে মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে, এমনি হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে দিনাজপুরসহ দেশের উত্তর জনপদ। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা না পাওয়ায় আর অব্যাহত হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের এই তীব্রতা। দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রায় দিনভর সূর্যের দেখা মিলেনি। প্রায় দিনভর সূর্যের দেখা না মেলায় এবং দিনভর হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় অনুভূত হয় কনকনে শীত। একাধিক গরম কাপড় গায়ে দিয়েও শীত নিবারণ করতে হিমশিম খেতে হয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালায়।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তোফাজ্জল হোসেন জানান, আকাশে জলীয় বাষ্পের আধিক্য বেড়ে যাওয়ায় উপরে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই সূর্যের দেখা মিলছে না। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পরপরই শহর এক প্রকার জনশূন্য হয়ে পড়ে। হাড় কাঁপানো এই কনকনে শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষ। আর নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে।
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে শীতজনিত রোগ। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, ‘দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে যে সংখ্যক রোগী ভর্তি রয়েছে, তার মধ্যে ১০ শতাংশ রোগীই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত।’