রাঙা প্রভাত ডেস্ক।। ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আগামী ১৭ মার্চ শুরুর প্রস্তুতি নেয়া হলেও তা আপাতত শুরু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার সচিবালয়ে পূর্বাচলের চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের প্রদর্শনী কেন্দ্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৭ মার্চকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি এগুচ্ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটাকে একটু স্লো করার জন্য। মেলা কখন শুরু হবে তা নির্ভর করছে উপরওয়ালার ওপরে। তবে এ বছর একটা সময়ে বাণিজ্য মেলাটা করতে পারব বলে আশা করি।’
টিপু মুনশি জানান, ভবিষ্যতে সারা বছরই এখানে মেলা, বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনী, সোর্সিং প্রোগ্রাম হবে। পাশাপাশি বছরে দুবার নিজস্ব পণ্য প্রদর্শনী করবে চীন।
এ প্রদর্শনী কেন্দ্রের মোট ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার বর্গমিটার। ভবনের মোট ফ্লোর স্পেস ২৪ হাজার ৩৭০ বর্গমিটার। এক্সিবিশন হলের মোট আয়তন ১৫ হাজার ৪১৮ বর্গমিটার। দোতলা পার্কিং ভবনে সাত হাজার ৯১২ বর্গ মিটার জায়গায় ৫০০ গাড়ি রাখা যাবে। এছাড়া এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনে খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্ক করা যাবে। এক্সিবিশন হলে ৮০০টি স্টল বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথের আয়তন ৯.৬৭ বর্গমিটার।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাণিজ্য মেলা ও প্রদর্শনীর স্থায়ী এই অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে চীন সরকার অনুদান হিসাবে দিয়েছে ৫২০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ২৩১ কোটি ও ইপিবির নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে এই প্রকল্পে।
পূর্বাচল ৪ নম্বর সেক্টরে ২০ একর জমির ওপর ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর মেলার অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। গত বছর ৩০ নভেম্বর নির্মাণ কাজ শেষ করার ঘোষণা দেয় তারা।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন ও ইপিবি কর্মকর্তারা সচিবালয়ে উপস্থিত ছিলেন।